দীর্ঘ দিন ধরে প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন তরুণী। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন তিনি। তরুণী তাঁর পরিচারিকার কাণ্ডে হতবাক হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁর পরিচারিকা। তাই তরুণীকে হোয়াটস্অ্যাপ করে সে কথা জানিয়েছেন। কিন্তু পরিচারিকা তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন স্পষ্ট ইংরেজি ভাষায়। তা দেখেই তাজ্জব বনে গিয়েছেন তরুণী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে পোস্ট করেছেন তিনি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘সিমরন এম ভম্বানি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে লিঙ্কডইনের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর তরুণী তাঁর পরিচারিকার সঙ্গে হোয়াটস্অ্যাপে যে কথা বলেছেন, সেই চ্যাটের ছবিই পোস্ট করা হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে গত বুধবার পর্যন্ত সেই চ্যাটে মোট চারটি মেসেজ রয়েছে। সেগুলির মধ্যে তিনটি মেসেজে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে মালকিনের কাছে ছুটি নিয়েছেন তিনি।
প্রতিটি মেসেজ-ই স্পষ্ট ইংরেজি ভাষায় লেখা। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে মেসেজ করে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি ভাল নেই। ঠান্ডা লেগেছে। গলায় ইনফেকশন হয়েছে। আমি আজ কাজ করতে যেতে পারব না।’’ চলতি বছরের ৬ জুন আবার একটি মেসেজ করেন তাঁর পরিচারিকা। সেখানে লেখা, ‘‘আমি আজ যেতে পারছি না। কারণ আমার সুস্থ বোধ করছি না।’’
গত বুধবার অসুস্থতার জন্য আবার তরুণীকে হোয়াট্সঅ্যাপ করে পরিচারিকা লেখেন, ‘‘আমার পায়ে ব্যথা। পা ফুলে গিয়েছে। ঠিক মতো হাঁটতে পারছি না। আজ কাজে যেতে পারছি না।’’ তরুণীর দাবি, পরিচারিকার দশ বছর বয়সি কন্যা তাঁর মায়ের তরফে ইংরেজি ভাষায় এই মেসেজগুলি পাঠায়। সেগুলি দেখে তরুণী হতবাক। পরিচারিকার কন্যার প্রশংসাও করেছেন তিনি। তরুণীর দাবি, তিনি যে পেশায় রয়েছেন সেখানে কেউ অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন করলেও এত গুছিয়ে স্পষ্ট ভাবে জানান না।