বাড়ির ছেলের শেষকৃত্য করে ফিরছিল পরিবার। ফিরে দেখলেন বাড়ির উঠোনে দিব্যি বসে রয়েছেন ‘মৃত’। পা দোলাচ্ছেন হাসতে হাসতে। ছত্তীসগঢ়ের সুরজপুরে তেমনই একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। মৃত বলে ধরে নেওয়া এক যুবককে সমাহিত করার পর বাড়ি ফিরে তাঁকেই বসে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যেরা। হতবাক হয়ে যান তাঁরা। স্থানীয়দের মধ্যেও চাঞ্চ্যল্য ছড়ায়। ঘটনাটি নিয়ে হইচই পড়েছে ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুরজপুরের চন্দ্রপুরের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম পুরুষোত্তম। সেখানকার পুলিশ সুপার সন্তোষ মাহাতো জানিয়েছেন, গত শনিবার মানপুর এলাকার একটি কুয়োয় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানতে আশপাশের এলাকায় খোঁজখবর চালায় পুলিশ। পুরুষোত্তম দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাই মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে দৌড়ে যান তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। মৃতদেহটি পুরুষোত্তমের বলে শনাক্ত করেন তাঁরা। এর পর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে মৃতদেহটি পুরুষোত্তমের পরিবারের হাতে তুলে দেয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে শেষকৃত্যও হয়। কিন্তু তার পরেই ওই আশ্চর্য ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
সুরজপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পুরুষোত্তমের পরিবার শেষকৃত্য সারছিলেন, সেই সময় তাঁদের এক আত্মীয় এসে খবর দেন, পুরুষোত্তম বেঁচে রয়েছেন। বহাল তবিয়তে বাড়িতেই বসে আছেন তিনি। এই খবর শুনে হতবাক হয়ে যান যুবকের পরিবারের সদস্যেরা। দৌড়ে যান বাড়িতে। দেখেন, বাড়ির উঠোনে বসে রয়েছেন পুরুষোত্তম। তাঁদের দেখেই একগাল হেসে এগিয়ে যান। আনন্দ এবং বিস্ময়ে ভরে ওঠে শোকার্ত পরিবার।
আরও পড়ুন:
অদ্ভুত সেই ঘটনাটি পুরুষোত্তমের পরিবারের জন্য আনন্দের হলেও তা পুলিশের জন্য রহস্যের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে পুরুষোত্তম ভেবে যাঁর শেষকৃত্য করা হল তিনি কে? পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পোশাক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য দেহটি সমাধি থেকে তোলাও হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।