সামুদ্রিক জগৎ নানা রহস্য দিয়ে ঘেরা। সেখানে নানা রকমের প্রাণী থাকে যা আমাদের কল্পনারও বাইরে। সেই রকমই একটি প্রাণীর ভিডিয়ো ধরা পড়ল আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক গবেষকদের ক্যামেরায়। দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের কাছে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে কলোসাল প্রজাতির এই স্কুইডটিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। গবেষকেরা এটি শনাক্ত করার জন্য নিউজ়িল্যান্ডের অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির অধ্যাপক তথা জীববিজ্ঞানী ডঃ ক্যাট বলস্টাডের সাহায্য নেন।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মার্চ মাসে এক ধরনের আধুনিক প্রজাতির ক্যামেরা নিয়ে ডঃ বলস্টাড দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়েছিলেন এই বিশেষ প্রজাতির স্কুইডকে চাক্ষুষ করার জন্য। কিন্তু সেই সময় তাঁর ক্যামেরায় এই প্রকার কোনও প্রাণী ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন:
কলোসাল স্কুইড সাধারণত আকারের দিক থেকে বৃহৎ আক়তির হলেও ক্যামেরায় ধরা পড়া স্কুইডটি বেশ ছোট আকৃতির। যা থেকে বলা যেতে পারে যে এটি প্রাপ্তবয়স্ক নয়। দক্ষিণ আটলান্টিকের ৬০০ মিটার গভীরতায় এই অদ্ভুতদর্শন প্রাণীটির দেখা মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গভীর সমুদ্রের মাঝে ভেসে বেড়াচ্ছে এক অদ্ভুত আকৃতির প্রাণী। সেটি যে এক প্রকার স্কুইড তা সাধারণ মানুষ প্রথম দেখাতেই বুঝতে পারবেন না। স্কুইডটি সমুদ্রের যেই স্তরে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে সেখানে যে সূর্যের আলো পৌঁছোয় না, তা সেই ভিডিয়ো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সেখানকার জল পুরো কুচকুচে কালো। তারই মাঝে স্বচ্ছ গা এলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই অভাবনীয় সুন্দর প্রাণীটি। তার গায়ের স্বচ্ছ চামড়ার পাশে উঁকি মারছে দু’টি কমলা রঙের চোখের মতো বস্তু। যেটা চট করে দেখলে মনে হচ্ছে সেখানে আলো জ্বলছে। তার চারিপাশ থেকে বেরিয়েছে কতগুলো হালকা কমলা রঙের শুঁড়। সেই শুঁড়গুলিকে নাড়াতে নাড়াতে এগিয়ে চলেছে কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবের জগতে বেরিয়ে আসা কলোসাল স্কুইড। সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
আরও পড়ুন:
ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফি তাদের নিজস্ব এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় এক লক্ষ ৪৪ হাজার নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখে ফেলেছেন। ভিডিয়োটিতে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পড়েছে।