Advertisement
E-Paper

‘মানসিক স্বাস্থ্য ভাল নয়, পেশাগত সাহায্য চাই’, ঊর্ধ্বতনকে ছুটির আবেদন জানিয়ে সহকর্মীদের কাছে ‘মজার পাত্রী’ হলেন তরুণী

কয়েক সপ্তাহ ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ বোধ করছিলেন তরুণী। সে কথা ঊর্ধ্বতনদের জানালে তাঁরা বিশেষ আমল দেননি। সেই মানসিক অবস্থা নিয়ে দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে কাজ করেছেন তরুণী।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৯

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

কয়েক সপ্তাহ ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ বোধ করছিলেন তরুণী। অফিসের ঊর্ধ্বতনদের সে কথা জানিয়েও ছিলেন তিনি। কিন্তু অধস্তনের কথায় পাত্তা দেননি ঊর্ধ্বতনেরা। দিনের পর দিন কাজের চাপে জর্জরিত করে ফেলেছেন তরুণীকে। এক দিন অফিসেই শরীর খারাপ হয়ে যায় তাঁর। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় তরুণীর। মানসিক ভাবে ভেঙেও পড়েন তিনি। পরের দিন আর অফিস যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না তরুণীর।

মনোবিদকে দেখাতে যাবেন বলে অফিসে ছুটির আবেদন করেছিলেন তিনি। নিজের মানসিক অবস্থার কথা জানিয়েও ছিলেন তিনি। কিন্তু ছুটি নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতনদের কাছে বকা খেতে হয় তরুণীকে। অফিসে যে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করা হচ্ছে তা-ও জানতে পারেন তরুণী। সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ঘটনার উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেছেন তিনি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

‘আর/গুরগাঁও’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। ২১ বছর বয়সি তরুণী তাঁর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। গুরুগ্রামের এক বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ বোধ করছিলেন তরুণী। সে কথা ঊর্ধ্বতনদের জানালে তাঁরা বিশেষ আমল দেননি। সেই মানসিক অবস্থা নিয়ে দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে কাজ করেছেন তরুণী। মানসিক চাপ বাড়তে থাকায় অফিসে থাকাকালীন অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন তিনি। শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায় তাঁর।

পরের দিন মনোবিদের পরামর্শ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তরুণী। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তিনি মনোবিদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন এবং তিনি যে ফোন ধরার মতো মানসিক অবস্থায় নেই তা জানিয়ে মেল করেন তরুণী। সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের আধিকারিকের কাছে ছুটির আবেদনও করেন তিনি। কিন্তু তা জানাজানি হওয়ার পর ঊর্ধ্বতনদের কাছে বকা খেতে হয় তরুণীকে।

ঊর্ধ্বতনদের কথায়, কী এমন পরিস্থিতি তৈরি হল যে তরুণী ফোন ধরতে পারবেন না! তরুণী যে মানসিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে অকারণে ছুটি নিয়েছেন তা বলে হাসাহাসি করতে শুরু করেন কয়েক জন সহকর্মী। পরে এক বিশ্বস্ত সহকর্মী তরুণীকে জানান যে, তাঁকে নিয়ে অফিসে কী পরিমাণ ঠাট্টা-ইয়ার্কি করা হয়েছে। সব শুনে আরও মুষড়ে পড়েছেন তরুণী। সত্যি কথা বলে তিনি যে ‘হাসির পাত্রী’তে পরিণত হয়েছেন, তা আরও কষ্ট দিচ্ছে তরুণীকে। তরুণীকে পরামর্শ দিয়ে এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘অফিসের সহকর্মীরা আপনার আত্মীয় নন। তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা করবেন না। বিপদের সময় আপনার পাশে তাঁরা থাকবেন না। তাই তাঁদের নিয়ে চিন্তা করাও বন্ধ করুন। এর ফলে আপনারই ক্ষতি হচ্ছে।’’

Bizarre Mental Health gurgaon Work Culture
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy