এই সেই সাবধানবাণী। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
এক চালেই মাত করেছে হিমাচলপ্রদেশ পুলিশ। তাদের সতর্কবার্তার বয়ান সাড়া ফেলে দিয়েছে। সাবাশি দিচ্ছে গোটা নেটমাধ্যম। ‘জেলে বড্ড ঠান্ডা’ এই বার্তার ভিতরেই যে আইনভঙ্গকারীদের প্রতি তাদের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও রয়েছে, তা মানছেন সকলেই।
রাস্তায় মত্ত চালকদের নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়ে পুলিশ। হাজার নিষেধেও তাঁরা কথা শোনেন না। এ বার তাঁদের মনে ভয় জাগাতে এক নয়া পন্থা নিল কুলু পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তারা। তাতে বড় বড় হরফে লেখা, মানালির জেল কিন্তু বড্ড ঠান্ডা! মত্ত হয়ে গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়লে, যেখানে ঠাঁই হবে, সেই জায়গাটি থাকার জন্য মোটেও আরামদায়ক নয়, সাইনবোর্ডে লিখে সেই কথাই মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাতে আরও রসদ যোগ করেছে সেই সাইনবোর্ডের স্থানমাহাত্ম!
কুলু পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এই পোস্টারটি রীতিমতো ভাইরাল। কিন্তু তার মূলত দু’টি কারণ। প্রথমত, সেই সাইনবোর্ডের ভাষা। কারণ মত্ত হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে চালকদের ঠাঁই হবে প্রবল ঠান্ডা মানালি জেলে। ক্ষণিকের আনন্দ-ফুর্তির জন্য কে-ই বা চাইবে হিমঠান্ডা জেলের মেঝেয় পড়ে থাকতে! আর দ্বিতীয়ত, সেই সাইনবোর্ড যে জায়গায় দেওয়া হয়েছে। সেখানে ডাইনে, বাঁয়ে কেবলই গাঁজা গাছে ভরা। সাইনবোর্ডের শেষ লাইনে লেখা, ‘সিগারেট ফুসফুসকে পুড়িয়ে দেয়’। অভিজ্ঞেরা জানেন, পুলিশ আসলে কিছু না বলেও অনেক কিছু বলে দিয়েছে এই সাইনবোর্ডে।
নেটমাধ্যমে পড়তেই এই পোস্টটি ভাইরাল। যে কৌশলে পুলিশের তরফ থেকে সাইনবোর্ডটির ভাষা এবং তার স্থান বাছাই করা হয়েছে, তা দেখে মুগ্ধ সবাই। কে বলে, পুলিশ মাত্রই রসকসহীন, কর্কশ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy