চারদিকে সাদা তুলোর মতো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। দূরে ভেসে উঠছে দিগন্তরেখা। সূর্যের রশ্মি যেন মেঘের দেশের সঙ্গে কোথাও গিয়ে মিশে যাচ্ছে। এই দৃশ্যটি বিমানের ককপিট থেকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা মুকুল দেব। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মুকুল তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় শেষ পোস্ট করেছিলেন। তার পর আর কোনও রকম পোস্ট করেননি তিনি। এই শেষ ভিডিয়োটি নিয়েই ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। কারণ, ভিডিয়োটি পোস্ট করে মুকুল এমন কিছু লিখেছেন যা দেখে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন:
বিমানের ককপিট থেকে দিগন্তরেখার ভিডিয়োটি পোস্ট করে মুকুল লিখেছিলেন, ‘‘অ্যান্ড ইফ ইয়োর হেড এক্সপ্লোডস উইথ ডার্ক ফোরবিডিংস টু… আই উইল সি ইউ অন দ্য ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন। #ক্রসকান্ট্রি।’’ পিঙ্ক ফ্লয়েড ব্যান্ডের ‘ব্রেন ড্যামেজ’ গানের পঙ্ক্তি এটি। ১৯৭৩ সালে গানটি মুক্তি পায়। ভিডিয়োটি পোস্ট করে তার সঙ্গে ‘ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন’ গানটির সুর জুড়ে দিয়েছিলেন মুকুল। পোস্টে এমন গান থেকে উদ্ধৃতি করায়, মুকুলের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে মারা গিয়েছেন অভিনেতা। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৫৪ বছর। গত ৭-৮ দিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল বলে জানা যায়। হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মুকুলের ঠিক কী হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে, একাকিত্বে ভুগতেন তিনি। অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে মদের আসক্তিও নাকি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
উত্তরপ্রদেশের এক প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে বিমান ওড়াতে শিখেছিলেন মুকুল। প্রায় এক দশক তিনি কমার্শিয়াল পাইলট হিসাবে বিমান উড়িয়েও ছিলেন। দিল্লিতে বিমান ওড়ানোর একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র খুলেছিলেন মুকুল। নেটাগরিকদের অধিকাংশের দাবি, বিমানের ককপিটে বসেই মেঘের দেশের সেই ভিডিয়ো তুলেছিলেন মুকুল।