অনলাইনে কেসের শুনানির মাঝে চালু হয়ে গেল বিড়ালমুখো ফিল্টার। প্রযুক্তির চাপে বিপাকে পড়লেন উকিল। প্রযুক্তিবিদ না হওয়ায় চেষ্টা করেও সরাতে পারলেন না সেই ফিল্টার। বাধ্য হয়ে ডাকতে হল তাঁর সহকারীকে। কিন্তু সে না আসা অবধি সেই মজাদার বিড়ালের মুখ নিয়েই জরুরি মিটিং সারতে হল তাঁকে। মিটিং-এ উপস্থিত অন্যদের চোখে-মুখে বিড়ালমুখো ফিল্টারের প্রতি বিতৃষ্ণা দেখা গেলেও, শেষে গিয়ে তাঁরাও হেসে ফেললেন। মজার সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা-ও সেই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট ভাবে জানতে পারা যায়নি।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অনলাইনে একটি কেসের শুনানি চলছে। সেই শুনানিতে বিচারক-সহ উপস্থিত রয়েছেন দু’পক্ষের উকিল। সেই দুই উকিলদের মধ্যে এক জন উন্নত প্রযুক্তির ‘ঝামেলা’য় পড়ে কেসের শুনানি শুরু হওয়ার আগেই হেরে বসে থাকলেন। অললাইনে শুনানিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখ ঢেকে গেল বিড়ালমুখো ফিল্টারে। বিচারক তাঁকে সে কথা জানালেও তিনি কোনও সুরাহা খুঁজে পেলেন না। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় তিনি জানালেন যে সেই ফিল্টারকে কী ভাবে বন্ধ করতে হয় সেটি তাঁর জানা নেই। সেই ব্যক্তি আরও জানালেন যে, ফিল্টারটি বন্ধ করার জন্য তিনি তাঁর সহকারীকে ডেকেছেন। সেই সহকারী এসে এই বিড়ালমুখো ফিল্টারটি বন্ধ করে দেবেন। তত ক্ষণ বিচারক চাইলে সেই ফিল্টার লাগিয়েই শুনানি শুরু করা যেতে পারে। কাতর স্বরে সেই ব্যক্তি জানালেন যে তিনি বিড়াল নন, তিনি এক জন মানুষ। তাঁর এই করুণ আর্তি শুনে ভিডিয়ো কলে থাকা আর দু’জন প্রৌঢ় হেসে উঠলেন। মজার সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
‘ডিমানডিয়েং’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ভিডিয়োটিতে প্রচুর নেটাগরিক লাইক ও কমেন্ট করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় দু’লক্ষ নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নানা হাসির মন্তব্য করে নেটাগরিকেরা ভিডিয়োটির মন্তব্যবাক্স ভরিয়ে তুলেছেন।