মায়ের দেহের সোনা-রুপোর গয়না তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হোক। দাবি জানিয়ে মায়ের চিতায় উঠে শুয়ে পড়লেন নাছোড়বান্দা পুত্র। অনেক অনুরোধও দাবি থেকে টলানো গেল না তাঁকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটপুতলী-বেহরোড় জেলায়। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এলেও গত ৩ মে কোটপুতলী-বেহরোড় জেলার লীলা কা বাস কি ধানি গ্রামে সেটি ঘটেছে। ভূরি দেবী নামে ওই গ্রামের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয় ওই দিন। ভূরি দেবীর সাত পুত্র। এর মধ্যে ছ’জনের সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকতেন তিনি। পঞ্চম পুত্র ওমপ্রকাশ আলাদা বাড়ি করেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত কয়েক বছর ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বাকি ভাইদের সঙ্গে বিবাদ চলছিল ওমপ্রকাশের।
আরও পড়ুন:
এর পর গত ৩ মে ভূরি দেবীর মৃত্যুর পর বাড়িতে আসেন ওমপ্রকাশ। গন্ডগোল বাধে শ্মশানে গিয়ে। ঐতিহ্য অনুসারে বৃদ্ধার দেহ চিতায় তোলার আগে তাঁর গা থেকে সোনা এবং রুপোর গয়না খুলে জ্যেষ্ঠপুত্র গিরিধারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর তা দেখেই বেঁকে বসেন ওমপ্রকাশ। মায়ের শেষকৃত্যের মাঝেই হার এবং চুড়িগাছা তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে ভাইদের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় তাঁর। গ্রামবাসীরা তাঁর মায়ের চিতা প্রস্তুত করার পর সটান গিয়ে সেই চিতায় শুয়ে পড়েন তিনি। জানান, মায়ের গয়না তাঁর হাতে তুলে না দেওয়া হলে তিনি শেষকৃত্য হতে দেবেন না। গ্রামবাসী এবং পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে শান্ত করার জন্য চেষ্টা করলেও ওমপ্রকাশ চিতা থেকে ওঠেননি। বাধ্য হয়ে গয়নাগুলি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পরই চিতা থেকে নেমে আসেন ওমপ্রকাশ। সেই ঘটনার ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, গয়না নিয়ে হট্টগোলের জন্য প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ভূরি দেবীর শেষকৃত্য আটকে ছিল।
সেই ঘটনার ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘মিস্টার কেএস’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। নেটাগরিকদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে মজার মজার মন্তব্য করলেও অনেকে আবার ওমপ্রকাশের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন।