মূত্রাশয়ের ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ এবং অণ্ডকোষ খোয়ালেন এক ব্যক্তি। ক্যানসার নিরাময়ের জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল আমেরিকার টেক্সাসের হার্শেল র্যালস নামে এক ব্যক্তির। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর ভয়াবহ সংবাদটি পান তিনি। ঘটনাটি ২০০৩ সালের হলেও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁকে বা তাঁর স্ত্রীকে না জানিয়েই যৌনাঙ্গ অপসারণ করে দেন চিকিৎসকেরা।
র্যালস সেই মুহূর্তটির কথা স্মরণ করে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর জেগে উঠে তিনি স্ত্রীকে বিছানার পাশে দেখতে পান। র্যালসের হাত ধরে তিনি জানান, মূত্রাশয়ের পাশাপাশি তাঁর বাদ পড়া অঙ্গগুলিতেও ক্যানসার ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে চিকিৎসকেরা সেগুলিকে অপসারণ করেন। পরবর্তী কালে যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, সেটি ছিল আরও বেদনাদায়ক। প্যাথলজি পরীক্ষায় জানা যায় অপসারণ করা লিঙ্গের টিস্যুতে ক্যানসারের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এর পর হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেন র্যালস। চিকিৎসায় অবহেলা এবং অস্ত্রোপচারের আগে সঠিক ভাবে অবহিত না করার অভিযোগ করেন র্যালস। ওই বছরই ক্ষতিপূরণ দিয়ে আদালতের বাইরে মীমাংসা করে নেয় অভিযুক্ত হাসপাতাল।
র্যালস জানান, অস্ত্রোপচারের আগে পুরুষাঙ্গ অপসারণের আশঙ্কার কথা জানাননি চিকিৎসকেরা। তাঁর স্ত্রী থেলমাও জানান, তাঁদের সঙ্গে এই বিষয়ে কখনও আলোচনা করা হয়নি। আভাস দেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই এটি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন বলে দাবি করেন তাঁরা।
এক বিবৃতিতে র্যালসের শল্যচিকিৎসক জানান, মূত্রাশয় অপসারণের সময় তিনি মনে করেছিলেন লিঙ্গ ও অণ্ডকোষে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসার। তাই তিনি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। তবে, অস্ত্রোপচারের পরে কোনও টিস্যু পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। পরে ডালাসের এক চিকিৎসক নমুনাগুলি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে র্যালসের লিঙ্গে ক্যানসার হয়নি। এই ঘটনাটি প্রকাশ পেতেই সমাজমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। নেটাগরিকদের একাংশ হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের অবহেলার বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।