মেয়ে থাকেন বিদেশে। যাব যাব করেও আর যাওয়া হয়ে উঠছিল না প্রৌঢ়ার। কিন্তু বিমানের টিকিট কাটার পর আর আনন্দ ধরছিল না তাঁর। এত দিন পর মা-মেয়ের দেখা হবে! প্রথম বার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন তিনি। তাই সেই উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারছিলেন না। বিমানবন্দরে ঢোকার পর থেকে প্রতি মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে মেয়েকে পাঠাচ্ছিলেন তিনি।
বিমানে উঠেও ফ্রন্ট ক্যামেরা অন করে অপটু হাতে ভিডিয়ো তুলেছিলেন তিনি। তাঁর চোখেমুখে অদ্ভুত আনন্দ। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে আর দেখা হল না তাঁর। বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনি। সমাজমাধ্যমের পাতায় প্রৌঢ়ার তোলা শেষ ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ভাইরালভয়ানী’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক প্রৌঢ়া বিমানে উঠে ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু করে ভিডিয়ো করছেন। তাঁর মুখ সামান্য দেখা গেলেও তিনি বিমানের আসনের দিকে ক্যামেরা ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। পর পর তিনটি আসনই ফাঁকা ছিল। একটি আসনের উপর ওই মহিলা তাঁর ব্যাগ রেখেছিলেন।
হাসিমুখে তিনি তাঁর বিমানসফরের প্রাক্মুহূর্ত ভিডিয়োবন্দি করছিলেন। ভিডিয়ো থেকে জানা গিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার লন্ডনগামী বিমানে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর মেয়ে থাকেন লন্ডনে। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে প্রথম বার লন্ডন যাচ্ছিলেন তিনি। বহু দিন পর মেয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দ তাঁর চোখেমুখে লেগে ছিল। কিন্তু সেই অভিশপ্ত বিমানই মহিলার প্রাণ কেড়ে নেয়। মেয়ের কাছে আর যাওয়া হল না মায়ের।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু সময় পরেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান (এআই ১৭১)। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী, ১০ জন ক্রু সদস্য এবং দু’জন পাইলট। এক যাত্রী বাদে সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।