মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হন ইনদওরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী। খুনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে স্ত্রী সোনম রঘুবংশী ও তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা-সহ বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মিকে। মঙ্গলবার রাতে রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার জনকে ইনদওর বিমানবন্দর থেকে শিলঙে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিমানবন্দরে চার অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে চড় মারেন এক যাত্রী। মেঘালয় পুলিশের একটি দল চার অভিযুক্তকে নিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। পিটিআইয়ের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে ভিডিয়োটি।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ব্যাগ নিয়ে বিমানবন্দরে অপেক্ষারত এক যাত্রী অভিযুক্তদের তাঁর পাশ দিয়ে যেতে দেখেই এক জনকে আচমকা চড় কষিয়ে দেন। চার অভিযুক্তের মধ্যে কাকে চড় মারা হয়েছিল তা জানা যায়নি, কারণ তাঁদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। যিনি চড় মেরেছিলেন তাঁর নাম সুনীল লাখওয়ানি। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ইনদওরের এক বাসিন্দা খুন হয়েছেন। তাই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজ করে ফেলেছেন। অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি। মৃতের স্ত্রী সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করে রাজাকে হত্যা করেছে বলে এই দাবি করেছেন সুনীল।
২৩ মে ইনদওরের যুবক রাজাকে খুন করা হয় মেঘালয়ে। তবে সেই দেহ উদ্ধার হয় ১১ দিন পর। স্ত্রী সোনমকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন তিনি। ২৩ মে মেঘালয়ে রাজা নিহত হওয়ার পর প্রধান অভিযুক্ত সোনম ইনদওরে এসেছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সোনম মেঘালয় থেকে ইনদওরে এসেছিলেন এবং ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত দেওয়াস নাকা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া ছিলেন। মেঘালয়ের কোথায় রাজাকে খুন করা যায়, তা কী ভাবে ঠিক হয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। সোনম আগে কখনও মেঘালয় গিয়েছিলেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।