শৌচাগারে যাওয়ার জন্য চ়়ড়া মূল্য দিতে হল এক যাত্রীকে। বিমানবন্দরে ঠিক সময়ে এসেও বিমান ধরতে ব্যর্থ হন তরুণ। সে কারণে তাঁর আড়াই লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। লিঙ্কডইনে চয়ন গর্গ নামে এক পোস্টদাতা জানান, পেশাগত কারণে জয়পুর থেকে মুম্বইগামী ইন্ডিগোর উড়ান ধরতে গিয়েছিলেন জয়পুর বিমানবন্দরে। তাঁর অভিযোগ, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের অবহেলার কারণে তিনি বিমানটি ধরতে পারেননি। সে জন্য তিনি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন।
চয়ন জয়পুর থেকে মুম্বই যাচ্ছিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক মিটিংয়ে। তিনি ভোর ৪:৪০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছোন। ৫:১০ মিনিটের মধ্যে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে বিমানবন্দরের ভিতরেও ঢুকে পড়েন তিনি। তাঁকে বলা হয় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তাঁর বিমানের বোর্ডিং শুরু হবে। গেটে প্রচুর ভিড় ছিল, তাই তিনি কিছু ক্ষণের জন্য শৌচাগারে চলে যান। ১২ মিনিট পর ফিরে এসে তিনি জানতে পারেন যে বোর্ডিং বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ তিনি কোনও ঘোষণাও শুনতে পাননি।
ইন্ডিগোর কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলে তাকে জানানো যে জয়পুর বিমানবন্দরটি ‘সাইলেন্ট এয়ারপোর্ট’ । অর্থাৎ সেখানে বিমানের উড়ান সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয় না। চয়ন তাঁদের জানান তিনি কয়েক মিনিট আগেই দেহরাদূন যাওয়ার একটি বিমানের ঘোষণা শুনেছেন। চয়ন জানান, তিনি হাতজোড় করে অনুরোধ করেন যে বিমান ধরতে না পারলে প্রভূত ক্ষতি হবে তাঁর। তবুও তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। বিমান সংস্থার তরফে কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। এই কারণে, তাঁকে মুম্বইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার বাতিল করতে হয়েছিল। ফলে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছিল। গর্গ লেখেন, ‘‘দুঃখের বিষয় হল বিমানবন্দরে কেউ আমাকে বলেননি কী করা যেতে পারে।’’ তিনি পোস্টে জানান, তিনি উড়ান সংস্থার কর্মীদের অনেক অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁকে সাহায্য করেননি। পরবর্তী উড়ান বা টাকা ফেরতের জন্য কোনও বিকল্প তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন চয়ন।