মাথার উপর ঝুলছে এক ডজনেরও বেশি মামলা। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে গিয়ে মহিলা সেজে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লেন রাজস্থানের এক ব্যক্তি। দয়া শঙ্কর নামে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হামলা, ডাকাতি ও মারধরের মতো অভিযোগ রয়েছে। একাধিক মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েক দিন ধরেই পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। শাড়ি-ব্লাউজ় পরে মহিলা সেজে পালানোর চেষ্টা করতেই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল পুলিশই। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
‘শচীন গুপ্তা’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লাল শাড়ি ও কালো ব্লাউজ়, গলায় মঙ্গলসূত্র পরা অবস্থায় পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। হাত দিয়ে মুখ ঢেকে দয়া শঙ্করকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসতে দেখা গিয়েছে। পুলিশকে বোকা বানানোর জন্য সে ভেক ধরে পালাতে চেষ্টা করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে দয়া এক জন দাগি অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত এবং দীর্ঘ দিন ধরেই সে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য মহিলার পোশাকে ঘুরে বেড়াত।
‘প্রিন্স চাওলা’ নামের এক তরুণ অভিযোগ করেন যে, দয়া শঙ্কর তাঁর দলবল নিয়ে তাঁকে বোতল, লাঠি ও ঘুষি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পুলিশে অভিযোগ না করার হুমকিও দেন। গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ দয়া শঙ্করের বাড়িতে একাধিক বার অভিযান চালিয়েছে কিন্তু তাঁকে ধরতে পারেনি। প্রতি বারই তাঁর বাড়িতে এক জন মহিলার দেখা মিলত। অবশেষে, ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র মারফত পুলিশ খবর পায় বাড়িতে থাকা মহিলা আর কেউ নন, দয়া নিজেই। এর পর হেড কনস্টেবল শমসের খানের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।