সমুদ্রের তীরে একের পর এক আছড়ে পড়ছে সফেন ঢেউ। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো মাঝ-আকাশেও দেখা মিলল মেঘের ঢেউয়ের। পর্তুগালের উপকূলে দৃশ্যমান হল অনন্যসুন্দর ‘মেঘের সুনামি’। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে একটি বিশাল মেঘের ঢেউকে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে দেখেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি গত ২৯ জুনের। সমুদ্রের মাথার উপর ছেয়ে গিয়েছিল বিশাল মেঘের দল। সেই দৃশ্য থেকে কার্যত বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সৈকতে উপস্থিত পর্যটকেরা। এমন অভূতপূর্ব দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। আনন্দবাজার ডট কমের হাতেও এসেছে সেই ভিডিয়ো।
ইউরোপে গরম পড়তে শুরু করেছে। আর গ্রীষ্মের শুরুতেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ। কোথাও কোথাও গরমের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। পর্তুগালেও গরমের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা। তারই মাঝে সমুদ্রের তীরে এই বিশাল মেঘের আনাগোনা দেখে কৌতূহলী হয়ে পড়েছেন দর্শক। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে যেন বিশাল এক সুনামি ধেয়ে আসছে। সমুদ্র থেকে উপকূলের দিকে একটি ঘন এবং কালো মেঘের দলকে ধেয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। সেটি তীরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল বাতাস বইতে শুরু করে। বিরল ঘটনা দেখে জল্পনা ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে। নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
আবহাওয়াবিজ্ঞান অনুসারে এটি বিরল প্রাকৃতিক ঘটনা হলেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। একে ‘রোল ক্লাউড’ বলা হয়ে থাকে। গরম, শুষ্ক বাতাস সমুদ্রের ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে মিলিত হলে এই বিরল অবস্থা সৃষ্টি হয়। একটি অনুভূমিক, নলাকার মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়। এর আকৃতি সুনামির ঢেউয়ের মতো হলেও আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। রোল ক্লাউডের দেখা মিললেও ভূমিকম্প বা জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।