সম্পর্কের ভিত্তি ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং সততার উপর তৈরি হয়। কিন্তু সেই বিশ্বাসেই যখন আঘাত লাগে তখন সব কিছু অর্থহীন মনে হয়। সম্প্রতি তেমনটাই ঘটেছে সমাজমাধ্যম রেডিট ব্যবহারকারী এক তরুণীর সঙ্গে। কিন্তু এমন ভাবে ঘটেছে যে তিনি এখনও তা বিশ্বাস করতে পারছেন না। ওই তরুণী জানিয়েছেন, কী ভাবে একটি ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্রের সাহায্যে স্বামীর ‘বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের’ কথা তিনি জানতে পেরেছেন। অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমেও ভাগ করে নিয়েছেন তরুণী।
আরও পড়ুন:
তরুণী জানিয়েছেন, বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি এবং তাঁর স্বামী। সম্পর্ক ভাল চলছিল না বলে স্বামী তাঁদেরই অন্য একটি বাড়িতে একা থাকছিলেন। তরুণীর দাবি, তিনি সম্প্রতি সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে রাখা একটি ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। ওই ধরনের যন্ত্র ওজন রেকর্ড করে রাখে। সেই রেকর্ড দেখতে গিয়েই তাজ্জব বনে যান তিনি। দেখেন, সেখানে সম্প্রতি এমন কেউ এক জন ওজন মেপেছেন, যাঁর ওজন ৫৪.৫ কেজি। তরুণী এবং তাঁর স্বামী কারও ওজনই ওই ওজনের কাছাকাছি নয়। তরুণীর সন্দেহ, সম্প্রতি কোনও মহিলাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন তাঁর স্বামী এবং সেই মহিলাই ওই ওজন মাপার যন্ত্রে ওজন মেপেছিলেন।
আরও পড়ুন:
তরুণী সমাজমাধ্যমে আরও জানিয়েছেন, স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই সন্দেহ করছিলেন তিনি। ওজন মাপার যন্ত্রের রেকর্ড দেখে তাঁর সেই সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে। তিনি ঠিক ভাবছেন কি না, তা নিয়ে নেটাগরিকদের কাছে পরামর্শও চেয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, ওই বিষয়ে তিনি এখনও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।
আরও পড়ুন:
তরুণীর পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়েছে নেটপাড়ায়। পোস্টটি ইতিমধ্যেই বহু রেডিট ব্যবহারকারী দেখেছেন। শুরু হয়েছে আলোচনা। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, তরুণী মিথ্যাই সন্দেহ করছেন তাঁর স্বামীকে। এর সঙ্গে পরকীয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে অন্য একাংশ আবার দাবি করেছেন, নিশ্চিত না হলে কেন কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীকে দোষারোপ করবেন? তাই তরুণী যা ভাবছেন তা সত্য এবং ওই তরুণীর বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলেও দাবি তুলেছেন ওই নেটাগরিকেরা।