অভিভাবকদের ফাঁকি দিয়ে রাতে স্কুটার নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ল সাত বন্ধু। কারও মাথায় হেলমেট নেই। স্কুটারে কোনও ভাবে একসঙ্গে উঠল তারা। স্কুটার থেকে ঝুলতেও থাকল কেউ কেউ। সাত বন্ধুর মধ্যে মাত্র এক জন প্রাপ্তবয়স্ক। বাকিরা কিশোর জীবনের গণ্ডি পার করেনি। সাত আরোহীকে একসঙ্গে স্কুটারে হুল্লোড় করতে দেখেন পথচারীরা। ঘটনাটি নজরে পড়ায় এক প্রত্যক্ষদর্শী তা ক্যামেরাবন্দি করেন। ভিডিয়োটি পুলিশের নজরে পড়তেই কড়া শাস্তি দিল পুলিশ। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘কিডদান’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক স্কুটারে সাত জন বসে রয়েছে। চালকের পিছনে আরোহীর আসনে বসে রয়েছে পাঁচ জন। বাকি দু’জন স্কুটার থেকে ঝুলে রয়েছে। অন্য আরোহীরা তাদের ধরে রয়েছে। সাত জনের কারও মাথায় হেলমেট নেই। হইহুল্লোড় করবে বলে রাতের রাস্তায় স্কুটার নিয়ে নেমে পড়েছে সাত বন্ধু।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি রবিবার রাতে ওড়িশার সম্বলপুরে ঘটেছে। হেলমেট ছাড়া সাত জন আরোহীকে স্কুটারে বসে থাকতে দেখে এক প্রত্যক্ষদর্শী সেই দৃশ্যটির ভিডিয়ো তুলে রাখেন। স্থানীয়দের নজরে পড়লে তাঁরাও আপত্তি জানান।
শেষ পর্যন্ত পুলিশের নজরে পড়লে তদন্ত শুরু করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই স্কুটারকে চিহ্নিত করা হয়। তার পর খোঁজ নিয়ে স্কুটারের মালিকের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। ট্রাফিকের নিয়ম ভাঙার জন্য স্কুটারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এমনকি, স্কুটারের মালিকের কাছ থেকে ২১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।