ঘুরতে যাওয়ার আগে পর্যটনস্থল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ভরসা করেছিলেন তরুণী। ঘুরতে যাওয়ার আগে অথবা সেখানে পৌঁছোনোর পর যেন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তাই চ্যাটজিপিটিকে নানা রকমের প্রশ্ন করছিলেন তিনি। চ্যাটজিপিটিও তাঁর সকল প্রশ্নের উত্তর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দিয়ে ফেলেছিল। সেই উত্তরগুলির উপর ভরসা করেই বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছিলেন তরুণী।
চ্যাটজিপিটি যে নির্ভুল তথ্য দিয়েছে, সেই ভরসাটুকু রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তরুণীর ঘুরতে যাওয়ার সমস্ত পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল চ্যাটজিপিটি। তরুণীর দাবি, তাঁর উপর শোধ তোলার জন্যই নাকি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণীর নাম মেরি কালডাস। স্পেনের বাসিন্দা তিনি। মেরির স্বামী আলেজান্দ্রো সিড তাঁর সঙ্গে স্পেনেই থাকেন। পেশায় নেটপ্রভাবী এই দম্পতি। সমাজমাধ্যমের পাতায় ভ্রমণ সংক্রান্ত ভিডিয়ো পোস্ট করেন তাঁরা।
পুয়ের্তো রিকো দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন মেরি এবং আলেজান্দ্রো। ঘুরতে যাওয়ার আগে সেই জায়গা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চ্যাটজিপিটির কাছে জেনে ফেলেছিলেন মেরি। সেখানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় কি না, সেই প্রশ্নও চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন মেরি। চ্যাটজিপিটি স্পষ্ট উত্তর জানিয়ে বলেছিল, ‘না’।
আরও পড়ুন:
সেই ভরসায় দু’জনে বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছিলেন। কিন্তু বিমানে ওঠার আগে সমস্যার সম্মুখীন হন তাঁরা। মেরি এবং আলেজান্দ্রো জানতে পারেন যে, পুয়ের্তো রিকোর বিমানে ওঠার আগে অনলাইনে একটি বিশেষ ফর্ম পূরণ করতে হয়। তা না করলে বিমানে ওঠা যায় না। এই তথ্য জানায়নি চ্যাটজিপিটি।
আরও পড়ুন:
সম্পূর্ণ তথ্য না জানার কারণে ঘোরার পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায় দম্পতির। পরে মেরি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “কারণে-অকারণে চ্যাটজিপিটিকে অনেক গালমন্দ করতাম আমি। কখনও মূর্খ বলতাম, কখনও বোকা বলতাম। প্রচুর অপমান করেছি। তাই হয়তো সেই অপমানের শোধ এ ভাবে তুলল।”