জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন শাশুড়ি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁদের খুঁজতে শুরু করেন। ১৬ এপ্রিল থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলেন স্বপ্না নামের সেই মহিলা। সঙ্গে ছিলেন হবু জামাই রাহুল কুমারও। থানায় বসে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বিয়ে করলে তিনি রাহুলকেই করবেন। পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে স্বপ্না জানান, তাঁর স্বামী জিতেন্দ্র মত্ত অবস্থায় প্রায়ই তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। এমনকি মেয়েও তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন বলে জানান তরুণী। মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা নগদ টাকা এবং গয়না নিয়ে বাড়ি থেকে পালানোর অভিযোগও অস্বীকার করেছেন গৃহবধূ। স্বপ্না বলেন, ‘‘আমি যখন চলে যাই তখন আমার সঙ্গে কেবল একটি মোবাইল এবং ২০০ টাকা ছিল।’’
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
স্বপ্না ও রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিয়ের ঠিক আগে কয়েক লক্ষ টাকার অলঙ্কার ও টাকা নিয়ে তাঁরা একসঙ্গে পালিয়ে যান। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে যে তারা দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য দিকে, অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন। স্বপ্না তাঁর হবু জামাইয়ের প্রেমে পড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যা-ই ঘটে যাক না কেন, ১১ বছরের ছোট প্রেমিক তথা মেয়ের বাগ্দত্তের সঙ্গেই সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৮ বছরের তরুণী স্বপ্না।
মেয়ের বিয়ের মাত্র ন’দিন আগে হবু জামাইয়ের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিলেন হবু শাশুড়ি। অভিযোগ ছিল, সঙ্গে নিয়ে যান মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা টাকা ও গয়না। স্বপ্নার বিরুদ্ধে আলমারি থেকে ৩.৫ লক্ষ টাকা এবং ৫ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের গয়না চুরির অভিযোগ এনেছিলেন মেয়ে শিবানী। হবু জামাই আর শাশুড়ির এই প্রেমকাহিনি শোরগোল ফেলে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। কয়েক দিন ধরেই স্বপ্না এবং রাহুল নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছিল পলাতকদের পরিবার। তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশও। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল কয়েক দিন আগেই নাকি শাশুড়ি এবং হবু জামাইকে ভিডিয়ো তৈরি করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁরা উত্তরাখণ্ডে আছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তাঁদের ধরতে ওই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলিগড়ের পুলিশ। এর মধ্যেই থানায় হাজির হন যুগল।
রাহুলের বক্তব্য, তিনি স্বপ্নার সঙ্গে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কারণ স্বপ্না তাঁকে বাড়ি থেকে পালানোর জন্য জোর করেন ও হুমকিও দেন। স্বপ্না তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন, রাহুল যদি তাঁকে নিয়ে না যান তা হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। রাহুল জানান, তাঁরা প্রথমে লখনউ যান এবং সেখান থেকে মুজ়ফ্ফরপুর। বাগ্দত্তার মাকে বিয়ে করতে চান কি না জানতে চাওয়ায় খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তরুণ। পরে জানান বিয়ে হবে। স্বপ্নার পরিবার জানিয়েছে, স্বপ্না বাড়িতে ফিরে আসুন চায় না তারা। তিনি যেন গয়না ও টাকা ফেরত দেন।