বিমান সফরকালে আইপ্যাডে অশ্লীল ছবি দেখার অভিযোগ উঠল মার্কিন রাজনীতিবিদ ও কংগ্রেসের সদস্য ব্র্যাড শেরম্যানের বিরুদ্ধে। ৭১ বছর বয়সি ডেমোক্র্যাটিক দলের আইনপ্রণেতার এক্স হ্যান্ডলে অশ্লীল ছবি দেখার মুহূর্তটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। বিমানের সহযাত্রীর তোলা ছবিগুলি এক্স হ্যান্ডলে ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়েছে মার্কিন রাজনীতির অন্দরে। যদিও এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
‘ডিয়ারহোয়াইটস্টাফ’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে মার্কিন কংগ্রেসের প্রবীণ সদস্য ব্র্যাডের দুষ্টু ছবিতে নজর রাখার বিতর্কিত পোস্টটি প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিগুলি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা ব্র্যাড শেরম্যান বিমানের মধ্যে আইপ্যাডে পর্ন দেখাকে উপযুক্ত মনে করলেন? ক্যালিফোর্নিয়া এঁর চেয়ে ভাল প্রতিনিধি পাওয়ার যোগ্য!!’’ বর্ষীয়ান মার্কিন রাজনীতিবিদ অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। উল্টে সমাজমাধ্যমে এই ধরনের ভিডিয়ো দেখানোর জন্য এক্স (সাবেক টুইটার)-এর অ্যালগরিদম এবং এক্স কর্তা ইলন মাস্ককে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি।
ব্র্যাডের যুক্তি, তিনি এক্সে স্ক্রল করছিলেন মাত্র। ছবিগুলি তার এক্স ফিডে ‘ফর ইউ’-তে স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে এসেছে। তিনি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত ইলন মাস্ক এক্সের অ্যালগরিদমকে নষ্ট করে দিয়েছেন। ব্যবহারকারীরা যা দেখতে চান না, সে সবই তাঁদের ফিডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’’ তাঁকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, এই ধরনের বিষয়বস্তু কি খোলাখুলি ভাবে জনসমক্ষে দেখা উচিত? মার্কিন রাজনীতিবিদের জবাব, ‘‘এটা কি পর্নোগ্রাফি নাকি! আমার মনে হয় না ইলন মাস্ক তা মনে করেন।’’ পোস্টটি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুত্র জুনিয়র ট্রাম্পও। তিনি পোস্টটি রিটুইট করে লেখেন, ‘‘ছিঃ।’’ ব্র্যাড পাল্টা জবাবে ছবিগুলির একটি সম্পাদিত সংস্করণ প্রকাশ করেন এবং ‘এপস্টাইন ফাইলগুলি প্রকাশ করুন’ লিখে তা পোস্ট করে দেন। ‘ডিয়ারহোয়াইটস্টাফ’-এর পোস্টটি ইতিমধ্যেই দেড় কোটি বার দেখা হয়েছে। ৩১ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে তাতে।