স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে ব্যস্ত সংসার তরুণীর। বাড়ির কাজ সামলে অবসর সময়ে সমাজমাধ্যমের জন্য ভিডিয়ো বানান তিনি। ব্যবসা-চাকরি না করেই উপার্জনের পথ খুঁজে পেয়েছেন তিনি। স্বামী অফিসে যাওয়ার আগে প্রতি দিন তাঁর সামনে নিত্যনতুন খাবার নিয়ে হাজির হন তরুণী। লাঞ্চবক্সে সেই খাবার প্যাক করে স্বামীর হাতে দিয়ে দেন তিনি। অফিসে গিয়ে দুপুরবেলা স্ত্রীর হাতের রান্নাই খান তাঁর স্বামী। কিন্তু এই সুখ বিনামূল্যে তরুণের কপালে জোটে না। টিফিন দেওয়ার জন্য স্বামীর কাছ থেকে প্রতি দিন ‘পারিশ্রমিক’ নেন তরুণী। সে কথাই ভিডিয়ো করে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণীর নাম রে। আমেরিকার বাসিন্দা তিনি। স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে থাকেন রে। তাঁর স্বামী আমেরিকার এক সংস্থায় চাকরি করেন। অফিসে যাওয়ার পর দুপুরে আর বাইরে খাওয়াদাওয়া করেন না তরুণ। রে নিয়ম করে টিফিনে দুপুরের খাবার পাঠিয়ে দেন। এক এক দিন এক এক রকম রান্না করেন রে।
সকালে উঠে রেঁধেবেড়ে স্বামীকে খাবার দেওয়া কর্তব্য রে-র। এই কাজের জন্য প্রতি দিন স্বামীর কাছ থেকে টাকাও আদায় করেন তিনি। টিকটকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়ো করে রে জানিয়েছেন যে, প্রতি দিন রে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে টিফিনপিছু ১৩.৫ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ হাজার ১৬৭ টাকা) আদায় করেন।
আরও পড়ুন:
রে-র দাবি, প্রতি দিন সকালে উঠে রান্না করতে যে সময় এবং পরিশ্রম লাগে, তার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করা কোনও অন্যায় নয়। এই শর্তে তাঁর স্বামীর কোনও আপত্তি নেই। তিনি সানন্দে স্ত্রীর হাতে নিয়মিত প্রাপ্য অর্থ তুলে দেন। রে আরও জানান, প্রতি দিন টিফিন বানানোর জন্য টাকা পেলে তাঁর এক এক দিন এক এক রকম রান্না করতে উৎসাহ জাগে। রে-র কথায়, ‘‘কোনও রেস্তরাঁয় গিয়ে একই খাবার খেলে তো আমার স্বামীকে টাকা দিয়েই খেতে হয়। তা হলে বাড়ির রান্না কী দোষ করল?’’
রে-র এই ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, পরিশ্রমের যোগ্য মূল্য পাওয়া প্রয়োজন। আবার কয়েক জন লিখেছেন, ‘‘বাইরে যেন খাবারের পিছনে খরচ না হয়, সে জন্যই বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাওয়া। সেখানেও যদি টাকা খরচ করতে হয় তা হলে আর লাভ কী?’’