মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের বক্তব্য, পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু জঙ্গিঘাঁটি। অন্যতম নিশানা ছিল বহাওয়ালপুর শহর। সেখানে ভারতের হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তানও। সেই আবহেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে একটি ইমারতের সঙ্গিন অবস্থা ধরা পড়েছে। দাবি করা হয়েছে, ইমারতটি বহাওয়ালপুরে অবস্থিত ‘মারকাজ় শুভান আল্লাহ্’। এটি জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) জঙ্গিদের অন্যতম ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণ শিবির ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিধ্বস্ত একটি ভগ্নপ্রায় ইমারত। বিশাল ইমারতটির স্থানে স্থানে বিস্ফোরণের চিহ্ন। দেওয়াল এবং মেঝেয় বড় বড় গর্ত। ছাদের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। দরজা এবং জানলাও টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি একাধিক এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। ভারতীয়েরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভিডিয়োটি দেখে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘উচিত শিক্ষা পেয়েছে পাকিস্তান এবং সেখানে থাকা জঙ্গিরা।’’
উল্লেখ্য, লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বহাওয়ালপুর শহর পাকিস্তানের দ্বাদশ বৃহত্তম শহর। একে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করা হয়। জইশের সদর দফতর রয়েছে ‘জামিয়া মসজিদ শুভান আল্লাহ্’ ক্যাম্পাসে। একে উসমান-ও-আলি ক্যাম্পাস বলেও অনেকে চেনেন। ১৮ একর জমি জুড়ে এই ক্যাম্পাস বিস্তৃত। এখানে জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।