একটি জলাভূমির মধ্যে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি হরিণ ও একটি সিংহী। শিকারি সিংহের সামনে পড়ে ঘাবড়ে গেল শিকার হরিণটি, মনে মনে হয়তো ভয়ও পেল সে। কিন্তু সিংহীর সামনে সেই সুপ্ত ভয়ের প্রকাশ ঘটাল না হরিণটি। উপরন্তু নিজেকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করল সে। হরিণটি শিং উঁচিয়ে তেড়ে গেল সিংহীটির দিকে। কিন্তু ভাগ্য হরিণটির সঙ্গ দিল না, সে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল কাদায়। সেই সুযোগে সিংহীটি এগিয়ে গিয়ে হরিণটির ঘাড়ে একটি কামড় বসিয়ে দিল। হার মানল হরিণটি। বন্য জীবনের সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা-ও সেই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি জলাভূমির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি হরিণ। তার সামনে, তারই দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি সিংহী। হরিণটির চোখে চোখ রেখে সিংহীটি পা ভাঁজ করে জলাভূমির উপর বসল। সিংহীটিকে দেখে বোঝা গেল যে সে শিকার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু ‘বনের রানি’কে দেখে ভয় পেলেও তা প্রকাশ করল না হরিণটি। বরং নিজের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করল সে। ‘স্পর্ধা’ দেখিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে থাকা সিংহীটির দিকে শিং উঠিয়ে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করল হরিণটি। কিন্তু লাভের লাভ হল না। কাদায় পা আটকে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল সে। তার পর উঠে দাঁড়ালেও চোখে কাদা ঢুকে যাওয়ার জন্য ঠিক করে দেখতে পেল না হরিণটি। সেই সুবর্ণ মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে পা টিপে টিপে হরিণটির কাছে এগিয়ে গেল সিংহীটি। অবিলম্বে হরিণটির ঘাড়ে এক থাবা বসিয়ে তাকে নিজের দিকে সরিয়ে আনল। তার পর হরিণটির ঘাড়ে নিজের তীক্ষ্ণ দাঁত গেঁথে গিল। কাদামাটির উপর নুইয়ে পড়ল হরিণটি। দেখে বোঝা গেল যে তার শরীরে আর পালিয়ে যাওয়ার শক্তি বেঁচে নেই। দিনের আলোয় সিংহীর কাছে প্রাণ হারাল ‘বোকা’ হরিণটি। সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
‘হায়াতেভাস_অরিজিনাল’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরালও হয়েছে। ভিডিয়োটিতে প্রচুর নেটাগরিক লাইক ও কমেন্ট করেছেন। প্রায় ১৮ হাজার নেটাগরিক ভিডিয়োটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নানা রকম মন্তব্য করে নেটাগরিকেরা ভিডিয়োটির মন্তব্যবাক্স ভরিয়ে তুলেছেন। কিছু নেটাগরিক হরিণের সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। অনেকে আবার হরিণের এই কীর্তিকে মূর্খামির সঙ্গে তুলনা করেছেন।