সব্জি ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেই হাঁসফাঁস অবস্থা শুরু হয়ে যায় মধ্যবিত্তের। বাজারে গিয়ে দরদাম করে জিনিসপত্র কিনতেই পকেট ফাঁকা হওয়ার দশা। ৩০ টাকার আলু ৩৫ টাকা হলেই চিন্তায় পড়ে যান আমজনতা। সেই আলু যদি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এক কিলো গাজর কিনতে গেলে খসবে পাঁচ হাজার টাকা! প্রতি কেজি টম্যাটোর দাম সাড়ে চার হাজার টাকা। মাশরুম দে়ড় লক্ষ টাকা কিলো! প্যাশন ফলের দাম প্রতি কেজি ১ হাজার ১৫০ টাকা, হলুদ ড্রাগন ফলের দামও পাঁচ হাজার টাকার আশপাশে। তেষ্টা পেলে গলা ভেজানোর জন্য জল কিনতে হলে খসবে কড়কড়ে ৩৭৫ টাকা। ভাবছেন বিদেশের কোনও সুপার মার্কেটের দামের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
সেই ধারণা ভুল। কারণ খোদ রাজধানীতেই রয়েছে এমন একটি শপিং মল যেখানে ফল ও সব্জির দাম আকাশছোঁয়া। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক সমাজমাধ্যম প্রভাবী একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি প্রতিটি প্যাকেটবন্দি সব্জি ও ফলের দামের বর্ণনা দিয়েছেন। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে নেটপ্রভাবী তরুণ বলেছেন যে, ‘‘সব্জিতে ব্যবহৃত আলুর দাম ১২০০ টাকা।’’ সেই আলুর রঙ হালকা বেগনি।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োটি মার্চ মাসে তোলা হয়েছে। দিল্লির চাণক্যপুরী মলে। ৮৮ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োটির শুরুতেই নেটমাধ্যম প্রভাবী জানিয়ে দিয়েছিলেন কেবল ধনী ব্যক্তিরা এখানে কেনাকাটা করতে পারেন। ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়ার পর থেকে ২৯ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। ৬৩ হাজারেরও বেশি নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা লাইক করেছেন। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আপনি কি মানুষকে দারিদ্র্যের অনুভূতি দেওয়ার জন্য ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন?’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘স্থানীয় বাজারে এর থেকে তাজা সব্জি পাওয়া যায়।’’