বিস্তীর্ণ তৃণভূমির উপর দিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে যাচ্ছিলেন পর্যটকেরা। মাঝপথে খিদে পেয়ে যায় তাঁদের। সে কারণে অনলাইনে খাবার অর্ডার করেন তাঁরা। কিন্তু লোকালয় থেকে তাঁরা এতটাই দূরে ছিলেন যে, কোনও বাইক বা ছোট গাড়ি করে সেই রাস্তায় খাবার ডেলিভারি করা সম্ভব ছিল না।
পর্যটকেরা ভেবেছিলেন, তাঁদের অর্ডার বাতিল করে দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁদের অবাক করে দিয়ে খাবার ডেলিভারি করতে পৌঁছে গেলেন এক তরুণ কর্মী। তবে তিনি গেলেন ঘোড়ায় চেপে। গাড়ির পাশাপাশি ঘোড়া ছুটিয়ে ক্রেতার হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দিলেন ডেলিভারি কর্মী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘সিজিটিএন’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, একটি গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘোড়দৌড় করছেন এক তরুণ। কিছু ক্ষণ পর গাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে যান তিনি। গাড়ির সামনের আসনে যে ব্যক্তি বসেছিলেন, তাঁর হাতে একটি প্যাকেট ধরিয়ে আবার ফিরে যান সেই তরুণ। সম্পূর্ণ ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন পিছনের গাড়িতে থাকা এক যাত্রী। এই ঘটনাটি ১ অক্টোবর মঙ্গোলিয়ার শিলিংগল এলাকায় ঘটেছে।
বিস্তীর্ণ চারণভূমি থাকার দরুন চারদিক জনমানবশূন্য। সেখানেই গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন পর্যটকেরা। মাঝসফরে খিদে পাওয়ায় অনলাইনে কিছু খাবার অর্ডার দেন তাঁরা। সেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাবার পৌঁছে দিতে ঘোড়া ছুটিয়ে চলে যান ডেলিভারি কর্মী। পিঠে ডেলিভারি করার ব্যাগ নিয়ে ঘোড়া ছোটাচ্ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
পর্যটকের হাতে খাবারের প্যাকেট ধরিয়ে আবার ফিরে যান তরুণ। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ায় সেই তরুণ নেটপাড়ার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে তরুণকে কুর্নিশ জানাই। এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডেলিভারি করতে হবে দেখেও যে অর্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়নি, তা-ও প্রশংসাযোগ্য।’’