মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে খরস্রোতা নদীর জলস্তর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। লোকালয়েও জল ঢুকে পড়েছে। সেই জলের সঙ্গেই ভেসে আসছে গাছপালার ভাঙা ডাল থেকে নানা জিনিসপত্র। হঠাৎ জলের মধ্যে ভেসে উঠল মস্ত বড় চিতাবাঘের দেহ। জলের তীব্র স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কেটে আর প্রাণ বাঁচাতে পারেনি সে। জলস্রোতই অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে চিতাবাঘের দেহটি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর বিশেষ সচিব পিএম ধাকাতে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, জলের স্রোতের সঙ্গে একটি চিতাবাঘের দেহ ভেসে যাচ্ছে। উত্তরাখণ্ডে গত কয়েক দিন ধরে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদীর জলের পরিমাণ বেড়ে তা ফুলেফেঁপে উঠেছে।
নদীর স্রোতই চিতাবাঘের দেহটি নিজের মতো এ দিক-ও দিক ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিয়োটি পোস্ট করে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ধাকাতে। প্রকৃতির রুদ্র রূপ থেকে যে কেউ বাঁচতে পারে না, সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি। ভিডিয়োটি দেখে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘বনে যে চিতাবাঘ হিংস্র, প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রূপের কাছে সেই হিংস্রতাও হার মানল। ভিডিয়োটি দেখে মনখারাপ হয়ে গেল।’’
আরও পড়ুন:
উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অলকানন্দা এবং মন্দাকিনী নদীর সঙ্গমস্থলে জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। কেদারনাথ উপত্যকায় নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে একটি সেতু। ক্রমশ নদী এবং ছোট নালাগুলির জল ঢুকছে লোকালয়ে। অল্প সময়ে অত্যধিক বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়ে বহু ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
রাস্তায় ধস নামায় অনেকে আটকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব এবং জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।