খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে পা টেপাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। এমনই এক ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে মধ্যপ্রদেশে। সমাজমাধ্যমেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম সুজাতা মার্কে। আদিবাসী কল্যাণ দফতরের অধীনে থাকা একটি আশ্রমিক স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁকে আগেও নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছিল। অভিযোগ, অবৈধ ভাবে আদিবাসী কল্যাণ বিভাগে পুনরায় নিয়োগ করা হয় তাঁকে। যদিও নতুন ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি সরকারি ক্লাসরুমের চেয়ারে বসে রয়েছেন এক শিক্ষিকা। তাঁর ঠিক সামনেই একটি টেবিল রাখা। শিক্ষিকাকে ঘিরে রয়েছেন কচিকাঁচার দল। তাদের মধ্যেই কয়েক জন খুদেকে দিয়ে পা টেপাচ্ছেন ওই শিক্ষিকা। পুরো ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি ‘ট্রাইবাল আর্মি’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে বুধবার পোস্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। লক্ষাধিক বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। নেটাগরিকদের অনেকেই ওই শিক্ষিকার কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘লজ্জাও লাগে না ফুলের মতো শিশুদের দিয়ে পা টেপাতে। আমাদের দেশ সত্যিই এমন অনেক ভয়ানক মানুষে ভরা।’’ অন্য এক জনের মতে, ‘‘শিক্ষিকাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত। উনি যেখানেই যাবেন, একই কাজ করবেন।’’