কয়েক দিন পরেই হ্যালোউইন নিয়ে মেতে উঠবে সারা শহর। সেই উপলক্ষে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে রেস্তরাঁগুলিতে। শুরু হয়েছে সাজানো। সেই কাজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন রেস্তরাঁর এক তরুণী কর্মী। সেই মুহূর্তে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে সেখানে খাওয়াদাওয়া সারছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু খেতে গিয়ে বিপদে পড়েন তিনি।
গলায় খাবার আটকে যায় তাঁর। শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যাওয়ায় হাঁসফাঁস করে আসন ছেড়ে উঠে পড়েন তিনি। ক্রেতার বিপদ বুঝে সেখানে ছুটে যান তরুণী কর্মী। প্রাণ বাঁচাতে সেই ক্রেতার পেট পিছন থেকে চেপে ধরেন তিনি। তরুণীর তাৎক্ষণিক বুদ্ধির জোরে প্রাণরক্ষা হয় ক্রেতার। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘এবিসিনিউজ়’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক ব্যক্তিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বার বার পেটে চাপ দিচ্ছেন রেস্তরাঁর এক তরুণী কর্মী। বার কয়েক এ ভাবে চাপ দেওয়ার পর ব্যক্তির গলা থেকে খাবারের টুকরো নীচে পড়ে যায়। সম্প্রতি এই ঘটনাটি আমেরিকার লুইজ়িয়ানার এক রেস্তরাঁয় ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই তরুণীর নাম ম্যাডিসন ব্রাইডেল্স। পড়াশোনার পাশাপাশি রেস্তরাঁয় কাজ করেন ম্যাডিসন।
হ্যালোউইন আসন্ন, তাই রেস্তরাঁর অন্দরে সাজাতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সেই সময় রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া সারছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাৎ তাঁর গলায় খাবার আটকে যায়। হাঁসফাঁস করতে করতে আসন ছেড়ে উঠে পড়েন তিনি। ক্রেতার বিপদ দেখে হাতের কাজ ফেলে সে দিকে ছুটে যান ম্যাডিসন। ওই ব্যক্তিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ফেলেন তিনি।
তার পর ক্রেতার পেটের উপর চাপ দিতে শুরু করেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই পদ্ধতিটি ‘হাইমলিক ম্যানুভার’ নামে পরিচিত। পেটে চাপ দেওয়ার ফলে শ্বাসনালিতে কিছু আটকে থাকলে তা বাইরে বেরিয়ে যায়। শেষমেশ সফল হন তরুণী কর্মী। জোরে চাপ দেওয়ার ফলে গলায় আটকে থাকা খাবারের টুকরোটি বাইরে বেরিয়ে যায়। ওই ক্রেতাও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন। থিতু হয়ে আবার খেতে বসেন তিনি।