রেস্তরাঁয় খেতে গিয়ে নিজেদের নিরামিষ বিরিয়ানিতে নিজেরাই মাংসের হাড় ঢুকিয়ে দিল একদল তরুণ। উদ্দেশ্য ছিল, রেস্তরাঁর মালিকের সঙ্গে ঝামেলা করে বিল না মেটানো। তেমনটাই অভিযোগ উঠেছে ওই তরুণদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। ওই তরুণদের রেস্তরাঁর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিনব চেষ্টার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩১ জুলাই রাতে গোরক্ষপুরের ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার শাস্ত্রী চকের একটি বিরিয়ানির দোকানে ঘটনাটি ঘটে। প্রায় আট-দশ জন তরুণের একটি দল ওই রেস্তরাঁয় খেতে ঢুকেছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন নিরামিষ এবং কয়েক জন আমিষ বিরিয়ানির অর্ডার দেন। তাঁরা বসেওছিলেন আলাদা আলাদা টেবিলে। খাবার পরিবেশনের পর পরই নিরামিষ বিরিয়ানি অর্ডার দেওয়া এক তরুণ হঠাৎই চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। দাবি করেন, তাঁর নিরামিষ বিরিয়ানি থেকে মাংসের হাড় বেরিয়েছে। ঝামেলাও শুরু করেন তাঁরা। রেস্তরাঁর মালিক রবিকর সিংহ তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁরা চিৎকার থামাননি। এর পরেই ওই রেস্তরাঁর মালিক পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে সিসিক্যামেরার ভিডিয়ো খতিয়ে দেখার পর প্রকাশ্যে আসে সত্য।
আরও পড়ুন:
সিসি ক্যামেরার ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আমিষ বিরিয়ানি অর্ডার দেওয়া বন্ধুদের কাছ থেকে মাংসের হাড় নিয়ে নিজেরাই নিরামিষ বিরিয়ানির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন নিরামিষ বিরিয়ানি অর্ডার দেওয়া কয়েক জন তরুণ। পরিকল্পনা করেই সেই কাণ্ড ঘটান তাঁরা। এর পরেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাঁরা স্বীকার করেন, বিরিয়ানির বিল যাতে না মেটাতে হয় সেই কারণেই ওই ফন্দি এঁটেছিলেন তাঁরা।
ওই ঘটনার যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে ওই তরুণদের কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োয় এক তরুণকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমরা নিরামিষ বিরিয়ানিতে মাংসের হাড় পেয়েছি। এই রেস্তরাঁয় কোনও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নেই।’’ সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি ‘ঘর কা কলেশ’ নামে একটি এক্স হ্যান্ডল শেয়ার করা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকদের একাংশ যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই অনেকে আবার ওই তরুণদের সমালোচনা করে সরব হয়েছেন। নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, পুলিশ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। রেস্তরাঁর মালিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘স্পষ্টতই ওই তরুণের দল বিল দিতে চাইছিল না। প্রায় পাঁচ-ছ’হাজার টাকার বিল হয়েছিল। ইচ্ছা করেই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিল ওরা।’’