আট বছর আগে ভারতে এসেছিলেন। নিজের দেশের অভিবাসন নীতিকে ‘দুর্নীতি’ বলে সমালোচনা করে হইচইও ফেলেছিলেন। এ বার তিনি জানালেন কেন আর কানাডায় ফিরে যাননি তিনি। কেন আট বছর ধরে থেকে গিয়েছেন ভারতেই। কথা হচ্ছে কানাডার যুবক ক্যালেব ফ্রিসেনের। ভারতের বেঙ্গালুরুতে কাটানো সময় নিয়ে খোলামেলা কথা বলে আবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে নেটাগরিকেরা প্রায়ই ক্যালেবকে প্রশ্ন করেন যে, কেন বসবাসের জন্য কানাডা ছেড়়ে ভারতকে বেছে নিয়েছেন তিনি? সেই উত্তরই এ বার দিয়েছেন ক্যালেব। ভিডিয়োতে কানাডার যুবককে ভারতীয় রাস্তায় সাইকেল চালাতে এবং অন্য দেশে যাওয়ার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে দেখা গিয়েছে। ভারতে ‘উন্নয়ন অনিবার্য’ এ কথা উল্লেখ করে ক্যালেব বলেন, ‘‘এটি এমন ধরনের উন্নয়ন নয়, যা আপনি প্রচেষ্টা বা কৌশলের মাধ্যমে অর্জন করেন। আমি এটিকে নিষ্ক্রিয় উন্নয়ন বলি। এটি এমন একটি উন্নয়ন, যা কেবল আপনার পরিবেশ পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘটে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি প্রথম থেকেই এমন একটি জায়গায় থাকতে চেয়েছিলেন যেখানে তাঁর উন্নতি অনিবার্য। আর তাঁর জন্যই তিনি ভারতকে বেছে নিয়েছেন বলে ক্যালেব জানিয়েছেন। ক্যালেবের কথায়, ‘‘একটি পরিবেশ খুঁজে বার করুন যা আপনাকে গড়ে তুলতে পারবে এবং আপনার উন্নতির যাত্রায় সাহায্য করবে। সেই কারণেই আমি ভারতে চলে এসেছি। আমি জানতাম যদি আমি ভারতে চলে আসি, তা হলে তা়ড়াতাড়ি উন্নতি হবে।” সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ক্যালেবের নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল ‘ক্যালেব_ফ্রিসেন’ থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। ভিডিয়ো দেখার পর ক্যালেবের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখে লিখেছেন, ‘‘সুন্দর মানসিকতা। আপনি খুব সাহসী যে পরিবার-পরিজন ছেড়়ে কেবল নিজের উন্নতির কথা ভেবে ভারতে রয়েছেন।’’
আরও পড়ুন:
এপ্রিল মাসের শেষে কানাডার অভিবাসন নীতি নিয়ে সমালোচনা করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ক্যালেব। ভিডিয়োয় ভারতীয়দের কানাডায় যাওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, কানাডা এক জন মানুষের থেকে সব নিয়ে নেবে। কিন্তু ফিরিয়ে দেবে খুব অল্প। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়োও।