মজলিসে গিয়ে নর্তকীর হাতে বন্দুক তুলে দিলেন পুলিশের কনস্টেবল। সেই বন্দুক উঁচিয়ে নাচতেও দেখা গেল তরুণী নর্তকীকে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুফাসসিল থানা এলাকার রামপুর বৈরাগী গ্রামে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। হইচইও ফেলেছে। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইতিমধ্যেই। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুত্রসন্তানের ষষ্ঠীপুজো উপলক্ষে সম্প্রতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বৈরাগী গ্রামের বাসিন্দা পবন সাহানি নামে এক ব্যক্তি। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি নর্তকী ডেকে নাচগানের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন গোপালগঞ্জের কুচাই কোর্ট থানায় নিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল অমিত চৌধরি। অভিযোগ, নর্তকীদের সঙ্গে নাচার সময় নিজের সার্ভিস রিভলভার এক তরুণী নর্তকীর হাতে তুলে দেন অমিত। বন্দুক হাতেই নাচতে বাধ্য করেন তাঁকে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি অভিযোগ, নাচানাচির সময় অমিত ওই রিভলভার থেকে গুলিও চালান। গুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। অমিতের ভাই মিসির চৌধরি এবং দমকল বিভাগের কনস্টেবল অনমোল তিওয়ারিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। গ্রামবাসীরা বন্দুক নিয়ে নাচার বিষয়ে আপত্তি জানালে তাঁরা কয়েক জনকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে অমিতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে মুফাসসিল থানা। এফআইআর দায়ের করা হয় অমিত, মিসির এবং অনমোলের বিরুদ্ধে। ঘটনা প্রসঙ্গে ডিএসপি বিবেক দীপ জানিয়েছেন, সরকারি অস্ত্রের অপব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ কঠোর ধারায় মামলা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ভিডিয়োটির সত্যতা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ছোটা নিউজ় অ্যাপ’ নামে এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা।