বুকে, গালে ব্যান্ডেজ বাঁধা। হাতে রক্তমাখা টি-শার্ট। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছেন এক নেপালি তরুণ। তাঁর দাবি, পুলিশের গুলি তাঁর বুক এবং গাল ছিন্ন করেছে। তবুও তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। ‘জেনজ়ি’দের একত্রিত হওয়ার ডাক দিতেও দেখা যায় তাঁকে। চাঞ্চল্যকর সে রকমই একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। দাবি, ভিডিয়োটি নেপালের গণবিক্ষোভের ভিডিয়ো। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তার ধারে একটি মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক নেপালি তরুণ। তাঁর পরনের জামার বোতামগুলি খোলা। সারা শরীরে ব্যান্ডেজ। হাতে মাইক। তাঁকে ঘিরে তরুণদের ভিড়। বক্তৃতা শুরু করেন তরুণ। দাবি করেন, তাঁর গালে এবং বুকে গুলি করা হয়েছে। তবুও তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। এর পর একটি রক্তমাখা টিশার্টও তুলে ধরেন তরুণ। জানান, ওই রক্ত তাঁর। গুলি খাওয়ার পর রক্তে পরনের টিশার্ট ভিজে গিয়েছিল। এর পর তামাম তরুণ প্রজন্মকে একত্রিত হওয়ার ডাক দেন তিনি। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ইসাগি’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা।
ছাত্র-যুব বিদ্রোহে অশান্ত নেপাল। সমাজমাধ্যমের উপর নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরই অশান্তির আগুন ছড়াতে শুরু করে ভারতের পড়শি দেশে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অন্য চেহারা নেয় মঙ্গলবার। সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেও কোনও লাভ হয়নি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নেপাল। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, আর্থিক বৈষম্যের মতো বিষয়গুলি সামনে চলে আসে। আন্দোলনকারীদের রোষের মুখে পড়ে নেপাল সরকার। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগও আগুন থামাতে পারেনি। বুধবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ালেও থমথমে পরিস্থিতি নেপালে।
আরও পড়ুন:
অশান্ত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারই নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফার পর বর্তমানে নেপালের দায়িত্বে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে তারা। নেপাল সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবন নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। দেশে লুটপাট চালালে, ভাঙচুর করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী। দেশের নাগরিকদেরও সহযোগিতা চেয়েছে তারা। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেপাল সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবনও।