সপ্তম শ্রেণি অবধি গণিত পড়ান। মাসে গেলে বেতনও পান। এ দিকে সামান্য ভাগ করতে গিয়েই নাকাল হলেন তিনি। পারলেন তো না-ই, একাধিক বার ভুল প্রয়াস করলেন। বিহারের একটি সরকারি স্কুলের এ হেন ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিহারের একটি সরকারি স্কুলে এক মহিলাকে তাঁর পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন এক যুবক। উত্তরে মহিলা জানান, তিনি একজন শিক্ষাসেবক। অর্থাৎ, এক জন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক, যাঁকে সীমিত সময়ের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। এর কিছু ক্ষণ পরে যুবক ওই শিক্ষিকাকে গণিতের একটি সহজ প্রশ্ন সমাধান করতে দেন। কিন্তু সঠিক উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে, তিনি বার বার ভুল করতে থাকেন। সামান্য ভাগ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হয় তাঁকে। বার বার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পরেও সেই অঙ্ক কষতে পারেননি তিনি। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান.নাউ’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা। অনেকে গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের অস্থায়ী শিক্ষকেরা আদতে কতটা প্রশিক্ষিত, তা নিয়েও। সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘যোগ্যরা চাকরি পাচ্ছেন না। আর এঁদের মতো রদ্দিদের দিয়ে সরকারি স্কুলে পড়ানো হচ্ছে। লজ্জা হওয়া উচিত।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘হয় টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে, নয়তো কাউকে ধরে। এই ভাগ তো যে কেউ করতে পারবে।’’