Advertisement
E-Paper

সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদ করে ‘বিপদ’! অভিমানে ইস্তফার পথে তৃণমূলের ১১ পঞ্চায়েত সদস্য

‘বিদ্রোহী’ পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, দুর্নীতিমূলক এবং অসামাজিক কাজকর্মের ফলে এলাকার মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তাঁরা। জবাবদিহি করতে হচ্ছে তাঁদেরই।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ২৩:১৩
tmc flag

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জমিয়ে বসেছে সিন্ডিকেট। তাদের বিভিন্ন অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় হুমকির মুখে পড়ছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যেরা। এমনকি, ‘জব্দ’ করার জন্য তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের শসার ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমনই সব অভিযোগ করে ইস্তফা দিতে চলেছেন হুগলির গুপ্তিপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ তৃণমূল সদস্য। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী এবং বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তাঁদের হুমকি দিয়েছেন। কারণ, গুপ্তিপাড়া এলাকার যত্রতত্র মাটি কাটা, জুয়ার বোর্ড চালানো এবং বালি পাচারের প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত দু’জন। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, তলে তলে বিরোধীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যেরা।

‘বিদ্রোহী’ পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, দুর্নীতিমূলক এবং অসামাজিক কাজকর্মের ফলে এলাকার মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তাঁরা। সন্ধ্যা নামলেই এলাকায় বালি এবং মাটি পাচার চক্রের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, এই সমস্যা নিয়ে গুপ্তিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েতের সদস্যেরা। তার পরেই নাকি লাগাতার হুকমির মুখে পড়ছেন সকলে।

অভিযোগ, এক পঞ্চায়েত সদস্যের শসার ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই পঞ্চায়েতের ১১ সদস্য পদত্যাগ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার পঞ্চায়েত কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১১ জনের বক্তব্য, ‘‘দলকে জানানো হয়েছে। দল যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে বলাগড় বিডিও-র কাছে গিয়ে ইস্তফা দেব। সেই কাগজপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান মানিক ঘরামির অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েতের অনেক বিষয় আছে, যেগুলো প্রধানকেই জানানো হয় না। আমায় না জানিয়েই এই সব কাজ চলছে।’’

পুরো ঘটনায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হুগলির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র বলেন, ‘‘দলের সভাপতি বা আমাকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। আমি খোঁজ নিচ্ছি। আশা করি, বিষয়টি মিটে যাবে।’’

Guptipara tmc panchayat TMC Hooghly
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy