মা নেই। বাবা আবার বিয়ে করেছেন। কিন্তু সৎমায়ের জন্য বাড়িতে থাকাই দায় হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর। বিহিত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলে সে। অভিযোগ পেয়ে নাবালিকার বাবা ও সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের থুমকাঠি জুনিয়র হাই স্কুলে পড়াশোনা করে নাজিরা মোল্লা। বয়স ১৪ বছর। পড়াশোনা, খেলাধুলোর বয়সে মেয়েটি সংসারের যাবতীয় কাজ করে। তার পরেও সৎমা খুশি নন। পুলিশের কাছে তার অভিযোগ, দিনের পর দিন সৎমা (মামনি মোল্লা) তাকে মারধর করছেন। পান থেকে চুন খসলেই গালাগালি, বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মেয়েটি আরও জানায় ছোট থেকেই বাসন মাজা থেকে ঘর মোছা, আনাজ কাটা থেকে বাড়ির টুকিটাকি সবই করতে হয় তাকে। কিন্তু তার পরেও জুটত মার।
শুক্রবার রাতেও সৎমা বেধড়ক মারধর করেছে তাকে। একপ্রকার ভয়ে, আতঙ্কে স্কুল থেকে ফিরে বাড়ি না গিয়ে সরাসরি ক্যানিং থানায় হাজির হয় সে। সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে তারা। থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নাবালিকার সৎমা ও বাবাকে। নাজিরার মানসিক অবস্থা দেখে চিন্তিত পুলিশ আধিকারিকেরা। মেয়েটির কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে ক্যানিং থানা।