যুব তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের উস্থি থানার উত্তর কুসুমে যুব তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুরানো আক্রোশ থেকে এই খুনের চেষ্টা বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ধৃতদের নাম আনোয়ার হোসেন হালদার, আক্রম আলি পুরকাইত, হাবিবুর রহমান মোল্লা, আতিবর রহমান মোল্লা, লালচাঁদ লস্কর, শরিফুল লস্কর ও কবিরুল লস্কর। ধৃত সাতজনের মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন লালচাঁদ ও তার দুই ছেলে কবিরুল ও শরিফুল।
রবিবার রাতে এই ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) মিতুন দে-র নির্দেশে তিনটি দল তৈরি করে তদন্তে নামেন পুলিশ আধিকারিকরা। বারুইপুর, সুন্দরবন ও উস্থি এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃত আনোয়ার হোসেনকে আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়েছে। বাকি ছ’জনকে বুধবার আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা সুজাউদ্দিনের দেহে অস্ত্রোপচার করে গুলি বার করেছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ দাবি করলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে বিজেপি-র ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেন, ‘‘মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি কার্যত একই। আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।’’ তবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy