এই ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বীজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জয়প্রকাশ পান্ডে এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার তুষার কান্তি পাঠকও এসে পৌঁছন।
রানা দাশগুপ্ত, এই ব্যক্তিকেই খুন করার চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতিরা। —নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের মুখে নৈহাটিতে এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করল শাসকদল। আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম রানা দাশগুপ্ত। তৃণমূলের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে শুধু গুলিই চালায়নি, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে একাধিক বার বোমাও ছোড়ে। গাড়িতে উঠে এলাকা থেকে বেরিয়ে কোনওমতে প্রাণ বাঁচান ওই নেতা।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই হামলা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা রানা ব্লক স্তরে দলের কাজ করেন। বুধবার একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি আক্রান্ত হন। নৈহাটির শিবদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পেপার মিলের সামনে তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
রানা জানিয়েছেন, রাত হলেও রাস্তায় প্রচুর গাড়ি ছিল। যানজটে পড়ে ধীরগতিতে চলছিল তাঁদের গাড়িটি। ওই সময়েই শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে গাড়ি থেকে নামেন তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা। অভিযোগ, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।
রানা জানিয়েছেন, প্রথমে গাড়ির পিছনে প্রচণ্ড শব্দে একটি বোমা পড়তে দেখেন তাঁরা। পরক্ষণেই গাড়ির সামনে আরও একটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। গুলিও সম্ভবত তখনই চালানো হয়েছিল। ‘সম্ভবত’ কারণ রানা জানিয়েছেন, বোমার শব্দে গুলি যে চলছে তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি তাঁরা। সতর্ক হতে আগেভাগে গাড়িতে উঠে পড়ে দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে দেখেন গাড়ির কাচে, দরজায় একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন। কোথাও গুলি কাচ ফুঁড়ে বেরিয়েছে। কোথাও আবার গাড়ির দরজার হ্যান্ডেল ভেঙে গিয়েছে। তবে বোমা এবং গুলি—দুই-ই লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান রানা।
খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বীজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জয়প্রকাশ পান্ডে এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসি তুষারকান্তি পাঠকও পৌঁছন। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে তৃণমূল কর্মীরাও এই আক্রমণের প্রতিবাদে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে উপর হালিশহরে পাঁচ মাথার মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমদম ব্যারাকপুর মহিলা সাংগঠনিক সভাপতি সোনালি সিংহ রায়ও।
আক্রান্ত নেতা রানা জানিয়েছেন, পুলিশ এবং প্রশাসন তাঁর নিরাপত্তার ব্যপারে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। যদিও দুষ্কৃতীরা এখনও অধরাই। পুলিশকে রানার গাড়ির চালক জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা সম্ভবত সংখ্যায় দু’জন ছিল এবং তারা বাইকে চেপে এসেছিল। মুখ ঢাকা থাকায় তাদের পরিচয় বোঝা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy