পরিচয়পত্র না দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন এক ‘দম্পতি’। পাঁচ মাস ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানা এলাকা দক্ষিণ বারাসাত মাসিকারির ওই ভাড়াবাড়িতে থাকছিলেন তাঁরা। রবিবার সকালে সেই ঘর থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। খুন না নেপথ্যে অন্য কারণ, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মাসিকারি এলাকার নুরজাহান বিবি নামে এক মহিলার বাড়িতে মাস পাঁচেক আগে ভাড়া নিয়ে আসেন এক যুবক-যুবতী। তবে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় কেউই পরিচয়পত্র দেননি। জানা যায়নি আসল নাম-ধামও। তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিতেন। নুরজাহানের দাবি, প্রায়ই দু’জনের মধ্যে নানা কারণে অশান্তি হত।
রবিবার সকালে ওই ভাড়া বাড়ির মহিলাকে ডাকতে গিয়েছিলেন নুরজাহান। দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর হাত ও পা বাঁধা। বাড়িতে নেই তাঁর ‘স্বামী’। নুরজাহানের চিৎকারেই ঘটনাস্থলে আসেন প্রতিবেশীরা। তার পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় বিনা পরিচয়পত্রেই ঘর ভাড়া দিচ্ছেন অনেকে। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও টনক নড়েনি। প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি, পরিচয়পত্রহীন কোনও লোককে যাতে ভাড়া দেওয়া না হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার ‘স্বামী’।