E-Paper

যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পিটিয়ে মারার অভিযোগ

বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়ার তারাপুকুর রোডে। মৃতের নাম সুমন মাইতি (২১)। তাঁর বাড়ি পানিহাটির নিমাই চ্যাটার্জি রোডে। এই ঘটনায় সুমনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৪১

—প্রতীকী চিত্র।

রাস্তায় এক যুবক অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন, এই খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করে খড়দহের বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ।

বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়ার তারাপুকুর রোডে। মৃতের নাম সুমন মাইতি (২১)। তাঁর বাড়ি পানিহাটির নিমাই চ্যাটার্জি রোডে। এই ঘটনায় সুমনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, তাঁকে মারধর করা হয়েছিল এবং তার জেরেই তিনি মারা গিয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সুমনের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার মতো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে একাধিক থানায়।

এ দিন ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে তারাপুকুর রোডে একটি ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় সুমন জড়িত সন্দেহে তাঁকে ধরে ফেলেন এলাকার লোকজন। তবে তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এর পরে ওই যুবককে বেধড়ক
মারধর করেন স্থানীয়েরা। তবে, পুলিশ এই তথ্য যাচাই করছে। আবার, অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই এলাকায় একটি মেলা চলছিল। অভিযোগ, সেখান থেকে খেলনা চুরি করেন সুমন। সেই সন্দেহে তাঁকে মারধর করা হয়। যদিও পুলিশ এখনও মেলার সঙ্গে ঘটনার কোনও যোগসূত্র পায়নি। সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

সুমনের মা মিঠু মাইতি বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে ছেলে বলেছিল, ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছে। পরে শুনতে পেলাম, চুরি করতে গিয়ে নাকি ধরা পড়েছে। কিন্তু তাই বলে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে? পুলিশের হাতেও তো তুলে দেওয়া যেত। আমরা এর বিচার চাই।’’ তবে মিঠু মেনে নিয়েছেন, এর আগে চুরির ঘটনায় ধরা পড়েছিলেন সুমন।

স্থানীয় এক পুরকর্তা জানিয়েছেন, তারাপুকুর রোড এলাকায় ভোরে ছিনতাইয়ের ঘটনা আগেও ঘটেছে। আগেও একটি ছিনতাইকারী দলকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। তার পরে কিছু দিনের জন্য এমন ঘটনা বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন, যদি কেউ চুরির ঘটনায় ধরাও পড়েন, তাঁর জন্য তো আদালত আছে। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার যুক্তি কী? এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের বক্তব্য, বার বার এমন ঘটতে থাকায় অসহিষ্ণু হয়েই কেউ কেউ আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন। তবে, তা কখনওই অভিপ্রেত নয়।

গোটা ঘটনায় পুলিশের নজরদারি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। যদিও পুলিশ সূত্রের দাবি, এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কী ভাবে এমন ঘটল, কারা ঘটনাস্থলে ছিলেন— সেই সব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

unnatural death Lynching khardah police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy