Advertisement
E-Paper

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে রাঁচী থেকে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত, খুনের সময় ছিলেন, দাবি পুলিশের

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জ়াকির খুনের সময় উপস্থিত ছিলেন। সইফুদ্দিনকে খুনের পর পুলিশের চোখে ধুলো দিতে জ়াকির রাঁচীতে পালিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৩
জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খুনে রাঁচী থেকে গ্রেফতার।

জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খুনে রাঁচী থেকে গ্রেফতার। — ফাইল ছবি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকার তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে গ্রেফতার আরও এক। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম জ়াকির ঢালি। জাকির দোলুয়াখাকি গ্রামেরই বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। ঝাড়খণ্ডের রাঁচী থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ। ধৃতকে বারুইপুর আদালতে তোলা হচ্ছে।

পুলিস সুত্রে খবর, জ়াকির গুলি চালানোর সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। যে দু’টি বাইকে দুষ্কৃতীরা গিয়েছিল তার একটি জ়াকির চালাচ্ছিলেন। ঘটনার পর বাইক ফেলে পালিয়ে যান জ়াকির। তার পর আত্মগোপন করতে হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে ট্রেন ধরেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খুনে জড়িত আরও কয়েক জন। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনে অভিযুক্তেরা রাঁচীতে পালিয়ে গিয়ে ডেকরেটরের কাজ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোপন সুত্রে পুলিশ সেই খবর পেয়ে যায়। সেই অনুযায়ী অভিযানে নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ। কিন্তু বাংলার পুলিশ পৌঁছনোমাত্র বাকিরা পালিয়ে যান। পুলিশ পাকড়াও করে জ়াকিরকে। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। ধৃতকে মঙ্গলবারই বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।

জয়নগরের তৃণমূল নেতা তথা বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং অঞ্চল প্রধান সইফুদ্দিন লস্করকে খুন করা হয়। নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পুলিশ জানায়, মোট চার জন দুষ্কৃতী তাঁকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন। দুষ্কৃতীদের ছোড়া একটি গুলি সইফুদ্দিনের কাঁধে লাগে। স্থানীয়েরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই খুনের জন্য সিপিএমের দিকে আঙুল তোলেন। অন্য দিকে অভিযোগ ওঠে, শাসকদলের নেতা, কর্মী এবং বিক্ষুব্ধ কয়েক জন বামনগাছির সিপিএম প্রভাবিত দোলুয়াখাকি নস্কর পাড়া এলাকায় চড়াও হন। বেশ কয়েক জন সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়ি। ওই এলাকা ছেড়ে আতঙ্কে পালিয়ে যান পরিবারের পুরুষ সদস্যেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা সময় লেগে যায় পুলিশের।

Joynagar Murder arrest police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy