Advertisement
E-Paper

ফের মৃত্যু ডেঙ্গিতে, ক্ষুব্ধ মানুষ

পর পর দু’জনের মৃত্যুতে ওই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের মধ্যে ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৫
অপরিচ্ছন্ন: হাবড়ার গ্রামে নানা জায়গায় চোখে পড়ে এই দৃশ্য।— নিজস্ব চিত্র।

অপরিচ্ছন্ন: হাবড়ার গ্রামে নানা জায়গায় চোখে পড়ে এই দৃশ্য।— নিজস্ব চিত্র।

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হল হাবড়া ১ ব্লকের বেড়গুম ১ পঞ্চায়েতের বেলিনি এলাকায়। সোমবার ভোরে কলকাতার নার্সিংহোমে সিদ্ধার্থ ঘোষ (৩৭) নামে ওই ব্যক্তি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।

রবিবার দুপুরে বেলিনি এলাকাতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রূপা মণ্ডল নামে এক মহিলা মারা গিয়েছেন। পর পর দু’জনের মৃত্যুতে ওই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের মধ্যে ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীর ক্ষোভ, জ্বর-ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে জোরদার পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। বাসিন্দারা জানান, মশা মারা ও ডেঙ্গির লার্ভা খুঁজে বের করে ধ্বংস করার কাজে পঞ্চায়েতের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।

বেড়গুম ১ পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে গতি আনতে বিডিও শুভ্র নন্দী পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মঙ্গলবার। বিডিও বলেন, ‘‘অনেকে বাড়িতে জমা জল, আবর্জনা, ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার করছেন না। ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী করা উচিত, জ্বর হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত, সবই গ্রামবাসী জানেন। কিন্তু কেন তাঁরা তা করছেন না, বুঝতে পারছি না।’’

সিদ্ধার্থ চাষের কাজে যুক্ত ছিলেন। ১৪ অগস্ট জ্বরে আক্রান্ত হন। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে বারাসত ও পরে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মৃতের স্ত্রী টুম্পা বলেন, ‘‘সপ্তাহে এক দিন কোনও মতে মশা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে।’’ তবে এখনও এলাকার বহু বাড়ির আশপাশে জল জমে রয়েছে। মশার লার্ভাও ভাসছে। নালাগুলি আর্বজনায় ভর্তি। তার মধ্যে প্লাসটিকের ব্যাগ, থার্মোকল পড়ে আছে। ঝোপ-জঙ্গলও রয়েছে।

গ্রামবাসীদের কথায়, ‘‘মাস দু’য়েক আগে এখানে জ্বর-ডেঙ্গি ছড়ালেও সবে মাত্র কয়েক দিন আগে থেকে পঞ্চায়েত নড়েচড়ে বসেছে। পঞ্চায়েত থেকে আগে পদক্ষেপ করলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।’’

হাবড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, পনেরো দিন ধরে বেড়গুম পঞ্চায়েত এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে মাইক প্রচার চলছে লাগাতার। মশা মারার তেল, ব্লিচিং চুন ছড়ানো হচ্ছে নিয়মিত। সমিতির সভাপতি অজিত সাহা বলেন, ‘‘জোর কদমে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ চলছে। পঞ্চায়েতের কাজের উপরে প্রতিদিন নজরদারি রাখা হচ্ছে। আমি নিজেও এলাকায় নিয়ে সরেজমিনে মশা মারার কাজ খতিয়ে দেখছি। তবে মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গির প্রকোপ আটকানো সম্ভব নয়।’’

Health Dengue Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy