প্রতিমা ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র
পারিবারিক জমি নিজের নামে লিখে দেওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে মায়ের উপর চাপ দিচ্ছিল ছেলে। অভিযোগ, সেই জমি না লিখে দেওয়ায় তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারল ছেলে। মারের চোটে মা মাটিতে ছিটকে পড়েন। মাথায় ও শরীরে চোট লাগে তাঁর।
বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণগড় এলাকায়। ঘটনার পর বৃদ্ধা থানায় ছেলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে বুধবার রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অতনু ঘোষ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারাসত জেলা আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণগড়ে থাকেন সত্তর বছরের বৃদ্ধা প্রতিমা ঘোষ। বছর সাতেক আগে স্বামী তপন মারা গিয়েছেন। তাঁর দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট ছেলে অতনুর এখনও বিয়ে হয়নি। প্রতিমা বড় ছেলে চিন্ময়ের কাছে খান। ছোট ছেলের ঘরে রাতে ঘুমান।
বৃদ্ধার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই অতনু তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে। মদ-জুয়ার টাকা চায়। না দিলেই মাকে মারধর করে। সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ। প্রতিমা বলেন, ‘‘বাইরে থেকে বন্ধুদের বাড়িতে ডেকে এনে অতনু মদের আসর বসায়। প্রতিবাদ করলে মারধর করে।’’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো একটি খুনের মামলায় অতনু অতীতে তিন বছর জেল খেটেছিল। এখন সে জামিনে মুক্ত। বৃদ্ধার প্রায় তিন কাঠা জমি আছে। ওই জমির ভাগ অতনু নিজের নামে করে নিতে মাকে সম্প্রতি চাপ দিচ্ছিল। মা রাজি হননি। দু’দিন আগে অতনু মাকে ঘর থেকে মেরে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বুধবার বিকেলে বাড়ি ফিরে সে মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সঙ্গে গালিগালাজ। মা প্রতিবাদ করাতে তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে অতনু। এরপরেই থানায় অভিযোগ করেন বৃদ্ধা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy