বর্ষা শুরু হতে এখনও ঢের দেরি। তার আগেই নিম্নচাপের জেরে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকার ক্যানিং-বারুইপুর রোড ও তার আশপাশে বেহাল নিকাশির ছবিটা প্রকট হয়ে উঠেছে।
দু’তিন দিনের সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে গিয়েছে। জমা জল মাড়িয়েই পথচারীদের হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। যানবাহনের চাকা থেকে জল ছিটে নষ্ট হচ্ছে জামাকাপড়। রাস্তার ধারের দোকানদারদেরও তাতে ঘোর সমস্যা। রাস্তার বড় বড় গর্তগুলি কোনও রকমে ইট দিয়ে বোজানো হয়েছিল। জল জমে সে সবও ক্ষইতে শুরু করেছে। জলের নীচে রাস্তার চেহারা ঠাহর করতে না পেরে মোটর বাইক, সাইকেল আরোহীরা উল্টে পড়ছেন। পা মচকাচ্ছে পথচারীদের। এ নিয়ে মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই।
তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নিকাশি নালাগুলি ঠিকমতো সংস্কার করা হয় না। তার উপরে মূল শহরে নতুন করে নিকাশি ব্যবস্থার রূপায়ণ হয়নি। এমনিতেই পুরনো নিকাশি নালাগুলি অধিকাংশ আবর্জনায় বুজে গিয়েছে। তার উপরে কোনও কোনও দোকানদার নালা বন্ধ করে যাতায়াতের পথ তৈরি করে ফেলেছেন। এ ছাড়া, নর্দমাগুলিতে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিত কয়াল বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার আবার নতুন করে ক্ষমতায় এল। এ বার অন্তত তারা মহকুমার নিকাশি ব্যবস্থার দিকে নজর দিক। অবিলম্বে নিকাশি সংস্কার না হলে আসন্ন বর্ষায় গোটা মহকুমা শহরটাই জলে ডুবে থাকবে।’’
ক্যানিং ১ বিডিও বুদ্ধদেব দাস জানিয়েছেন, ক্যানিং-বারুইপুর রোডের উপরে পেট্রল পাম্পের কাছে নিকাশি নালাগুলি বুজে গিয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমছে। যে কারণে আবার রাস্তা ভেঙে গিয়ে গর্ত তৈরি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরকে বলা হয়েছে, ওই জায়গাটুকু কংক্রিটের করে দেওয়ার জন্য। পূর্ত দফতরের এক বাস্তুকার বলেন, ‘‘রাস্তার ওই অংশে বার বার গর্ত তৈরি হয়ে যাচ্ছে। জায়গাটি কংক্রিটের করা হবে। ভোটের জন্য কাজ আটকে ছিল। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই তা শুরু হবে।
ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘‘সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের টাকায় ক্যানিঙে হাইড্রেন তৈরি করা হবে। টাকা অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। ভোটের জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। আশা করছি, দ্রুত তা করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy