পুলিশের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত এক যুবককে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিল বারাসতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ কোর্ট (সপ্তম) আদালত।
একইসঙ্গে ওই তরুণীকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ওই ঘটনাটি ঘটেছিল।
সরকারি কৌঁসুলি সৌভিক বসুঠাকুর জানিয়েছেন, বাহার আলি নামে ওই যুবককে আমৃত্যু কারাবাস ছাড়াও মিথ্যে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও অপরাধ ঘটানোর ধারাতেও গত বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করার পরে শনিবার তার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক প্রজ্ঞাগার্গী ভট্টাচার্য (হুসেন)।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, ওই তরুণীর ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁর ফোন হ্যাক হয়েছে বলে তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল ওই যুবক। তার পরে পুলিশের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে এবং তাঁর মোবাইলটিকে হ্যাকমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল সে।
মামলার তদন্তকারী সাব ইনস্পেক্টর পিঙ্কি ঘোষ বর্তমানে গোবরডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি। তিনি বলেন, ‘‘তরুণীকে সহযোগিতা করতে পেরে ভাল লাগছে। তবে একটা কথা বলব, দোষী যেন উচ্চ আদালতে গেলেও ছাড়া না পায়। এই রায় বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার কথা মনে করাল।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)