বাবা-মা বেঁচে এবং তাঁরা বাংলারই বাসিন্দা। তার পরেও দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে নিজের বাবা-মা বলে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন এক যুবক। এমন অভিযোগ পেয়ে বিস্মিত বিডিও। খোঁজখবর করে পাওয়া গেল অভিযুক্ত রাজু মণ্ডলকে। অকপটে স্বীকার করলেন, তিনি জেনেবুঝে এই কাজ করেছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা সংগ্রামপুর শিবাটী গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানকার ৮ নম্বর বুথের বাসিন্দা মহাদেব মণ্ডল এবং নীলিমা মণ্ডল। দম্পতির দাবি, তাঁদের অজান্তে রাজু নামে এক জন গর্হিত কাজ করেছেন। অভিযোগ, তথ্য চুরি করে মহাদেব এবং নীলিমাকে বাবা-মা সাজিয়ে ভোটার কার্ড বানিয়েছিলেন রাজু। এখন এসআইআর প্রক্রিয়ায় সেই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ওই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় হট্টগোল। বৃদ্ধ মহাদেব হঠাৎ জানতে পারেন তাঁর আরও একটি ছেলে রয়েছে!
মহাদেব জানান, তাঁদের দুই সন্তান। কিন্তু তৃতীয় কোনও ব্যক্তি তাঁদের অজান্তে ভুয়ো তথ্য দিয়ে ভোটার কার্ড বানিয়েছিলেন। এ নিয়ে বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) বাপি মণ্ডলকে লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পাশাপাশিই বসিরহাট-১ ব্লকের বিডিওর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। মহাদেবের কথায়, ‘‘যে আমাদের নাম ব্যবহার করেছে, সে এলাকারই বাসিন্দা। কিন্তু কেন এই কাজ করেছে জানা নেই।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত রাজু এলাকার আদি বাসিন্দা নন। বছর সতেরো হল তিনি বসিরহাটে বসবাস করছেন। সেখানেই ভোট দেন। আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই যুবক বিয়ের সূত্রে উত্তর ২৪ পরগনায় এসেছিলেন। শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। শ্বশুর মধুসূদন মণ্ডল মারা গিয়েছেন। শাশুড়ি ভারতী জীবিত। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী পাপিয়া। কেন অন্য দম্পতিকে নিজের বাবা-মা বানাতে গেলেন? রাজুর জবাব, ‘‘বাবা-মা জীবিত। তবে সেখানে (মুর্শিদাবাদে) আর যাই না। তাই...।’’ আর কোনও কথা বলতে পারলেন না তিনি।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, বসিরহাটের স্বরূপনগরে আবার এক দালাল-সহ চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত বাংলাদেশিদের বাড়ি খুলনা জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে দালাল মারফত চার বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধ ভাবে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিএসএফ জওয়ানেরা তাঁদের আটক করেছেন। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।