Advertisement
E-Paper

স্ত্রী কাজে গেলেই কন্যাকে ধর্ষণ! কিশোরী সন্তানসম্ভবা হওয়ার পরে ধরা পড়লেন দোষী

আদালত সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের ১৮ জুন বালুরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ‘নির্যাতিতা’র মা অভিযোগ করেন স্বামীর বিরুদ্ধে। মহিলা জানান, তিনি অভিযুক্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান কয়েক দিন পেটের ব্যথায় ভুগছিল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৪

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সৎবাবার কারণে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছিল কিশোরী মেয়ে। ডিএনএ পরীক্ষায় অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল বালুরঘাটের বিশেষ পকসো আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক শরণ্যা সেনপ্রসাদ।

আদালত সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের ১৮ জুন বালুরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ‘নির্যাতিতা’র মা অভিযোগ করেন স্বামীর বিরুদ্ধে। মহিলা জানান, তিনি অভিযুক্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান কয়েক দিন পেটের ব্যথায় ভুগছিল। ১৭ জুন মেয়েকে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, কিশোরী ৪ মাসের গর্ভবতী। তবে বয়সজনিত কারণে ভ্রূণ গর্ভেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন, তাকে ধর্ষণ করেছেন সৎবাবা।

তদন্তে নেমে ভ্রূণের ডিএনএ পরীক্ষা করে পুলিশ। তাতে তারা নিশ্চিত হয়, কিশোরীর সৎবাবাই অভিযুক্ত। জানা যায়, স্ত্রী কাজের সূত্রে বাইরে গেলেই কিশোরীকে মেয়েকে নানা অছিলায় নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করতেন যুবক। দিনের পর দিন ধর্ষণে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে মেয়েটি।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই মামলায় রায় ঘোষণা করেছে আদালত। দোষীর শাস্তি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আদালত ডিএলএসএ (জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ)-কে নির্দেশ দিয়েছে, ধর্ষিতার পড়াশোনা এবং ভবিষ্যতের জন্য ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

Rape case Crime Step Daughter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy