Advertisement
০২ মে ২০২৪
Shantanu Thakur

গাইঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে অভিষেককে তোপ বিজেপি সাংসদ শান্তনুর

বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনুর অভিযোগ, অভিষেক গাইঘাটা এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, ‘অভিষেক-ভীতি’ থেকেই ‘প্রলাপ’ বকছেন বিজেপি নেতারা।

BJP MP Shantanu Thakur attacked TMC MP Abhishek Banerjee in Gaighata

শান্তনু ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৫
Share: Save:

নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনুর দাবি, বেশ কয়েক মাস আগে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে না পারার কারণে অভিষেক গাইঘাটা এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। তারই ফলশ্রুতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। এই নিয়ে অবশ্য বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, ‘অভিষেক-ভীতি’ থেকেই ‘প্রলাপ’ বকছেন বিজেপি নেতারা।

বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মানিকহীরা দেশপাড়াতে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক, ৬২ বছরের বৃদ্ধা কানন রায়কে সমীর মল্লিক নামের এক যুবক মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। পরবর্তী কালে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। এই ঘটনার প্রতিবাদে বনগাঁ জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি নিরুপম রায়ের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। শুক্রবার কাননের বাড়িতে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে পৌঁছেছিলেন শান্তনু, বনগাঁ জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এই ঘটনায় অভিষেকের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে শান্তনু বলেন, “যারা অভিযুক্ত, পুলিশ তাদের বাড়িতে পাহারা দিচ্ছে। দলদাসে পরিণত হয়েছে পুলিশ । ওরা বলেছে আরও পাঁচটা খুন করবে, আমরাও দেখব ওরা কত বড় বাপের বেটা।”

এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সমীর এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, কাননদেবীর পুত্র জয়ন্ত রায় বিজেপি সমর্থক। ওই বৃদ্ধাও বিজেপি করতেন। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বুধবার রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জয়ন্ত এবং তাঁর স্ত্রীর উদ্দেশে মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করেন সমীর। প্রতিবাদ জানালে জয়ন্তকে তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় মারামারি ঠেকাতে যান জয়ন্তের মা। অভিযোগ, সেই সময় সমীর ওই বৃদ্ধার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। তাঁকে বাঁচাতে এলে বৃদ্ধার পুত্রবধূকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জখম ওই বৃদ্ধাকে রাতেই স্থানীয়েরা চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বারাসত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে সমীরকে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বিজেপি শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে অপরাধীরা ধরা পড়েন না। আর এখানে পুলিশ সক্রিয় হয়ে তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করতে চাইছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE