Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশি পুলিশের সাসপেন্ড হওয়া কর্মী গ্রেফতার বসিরহাটে! অনুপ্রবেশের সময় ধরে ফেলে বিএসএফ, পাঠানো হল জেলে

সূত্রের খবর, ধৃত আরিফুজ্জামান বাংলাদেশের রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী থেকে নিলম্বিত। দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত লাগোয়া এক গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৫ ১৮:২৯
অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ধৃত বাংলাদেশি।

অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ধৃত বাংলাদেশি। —নিজস্ব চিত্র।

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ধরা পড়লেন বাংলাদেশ পুলিশের এক নিলম্বিত আধিকারিক। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে হাকিমপুর সীমান্ত চৌকি সংলগ্ন এলাকা থাকে তাঁকে পাকড়াও করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ানেরা। পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় স্বরূপনগর থানার হাতে। রবিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সূত্রের খবর, ধৃত আরিফুজ্জামান বাংলাদেশের রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী থেকে নিলম্বিত। দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত লাগোয়া এক গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। শনিবার ঝড়-বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে আসার চেষ্টা করেন আরিফুজ্জামান। সেই সময়েই বসিরহাটের হাকিমপুর সীমান্ত চৌকিতে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জওয়ানেরা। শেষে শনিবার বেশি রাতের দিকে ধৃতকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

ধৃতের দাবি, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বেশ কয়েক মাস ধরে আত্মগোপন করেছিলেন। নিজের সুরক্ষার কারণে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করছিলেন। তখনই ধরা পড়ে যান বিএসএফ-এর হাতে। সূত্রের খবর, শনিবার রাতের ওই ঘটনার কথা বিএসএফ এবং স্থানীয় পুলিশের তরফে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের জানানো হবে। ধৃতের থেকে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির বিষয়েও দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে তথ্য আদানপ্রদান শুরু হয়েছে।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ অগস্ট মোট ১৮ জন পুলিশ আধিকারিককে নিলম্বিত করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে আরিফুজ্জামানের নামও আছে। ওই সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে আরিফুজ্জামান কাজে যেতেন না। পরবর্তী সময়েও তিনি কাজে যোগ দেননি। সেই কারণেই তাঁকে নিলম্বিত করা হয়।

ঘটনা প্রসঙ্গে বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি হাসান বলেন, “গত রাতে বিএসএফ (অভিযুক্তকে) ধরে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। বিএসএফ জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পেয়েছে। আমরাও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং কিছু তথ্য পেয়েছি। যে বিষয়গুলি আমরা জানতে পেরেছি, সব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদে নতুন করে আর কিছু আমাদের জানার নেই। সেই জন্য আমরা পুলিশি হেফাজতের আবেদন করিনি আদালতের কাছে। যদি প্রয়োজন হয়, তা হলে আদালতের নির্দেশে তাঁকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করব।”

Bangladeshi Infiltration Basirhat West Bengal Police BSF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy