বেআইনি ভাবে গাছ কেটে, ডোবা ভরাট করার কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠল। বারাসত ১ ব্লকের দত্তপুকুর ২ পঞ্চায়েতের চালতাবেড়িয়ার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনি কাজ হলেও উদাসীন সব পক্ষ। পঞ্চায়েত সদস্যের আপত্তিকে উড়িয়ে দিয়েই চলছে জমি দখল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চালতাবেড়িয়া এলাকায় একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ডোবা ভরাট করে গাছ কেটে নির্মাণ কাজ করছেন এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও বাসিন্দারা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানালেও বন্ধ হয়নি কাজ। উল্টে, প্রতিবাদীদের দেওয়া হচ্ছে হুমকি। জমির এক মালিক আবু সাহাব মণ্ডল বলেন, ‘‘ডোবা-সহ জমির মালিক এলাকার বেশ কয়েক জন। জমির মালিকানা নিয়ে চলা মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এ দিকে, ওই ব্যবসায়ী জমি কিনে ডোবা ভরাট করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছি।’’
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই জমি কারবারির সঙ্গে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের সখ্য আছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা দত্তপুকুর ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মান্তু সাহা বলেন, ‘‘যদি ডোবা ভরাট করা হয় এবং বৈধ কোনও কাগজপত্র না থাকে, তবে আমি দলের উচ্চ নেতৃত্ব-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’’ প্রধান রমা মিত্র ঘোষ এ নিয়ে ফোনে কথা বলেননি।
অভিযুক্ত জমি ব্যবসায়ী ফোন ধরেননি, উত্তর দেননি মেসেজের। তাঁর সঙ্গী মহম্মদ ইয়ার আলি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে এই কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছিল। পরবর্তীতে সব মিটে যাওয়ায় কেউ আর বাধা দেয়নি বলে আমরা কাজ করছি। জলাশয় ভরাট থেকে গাছ কাটার কোনও আইনি নথিও নেই। জমি কিনে কাজ করছি। সকলে সব জানে।’’
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আনসার আলি মোল্লার কথায়, ‘‘এই কাজের বিরুদ্ধে আমি প্রথমেই সরব হয়েছিলাম। বৈধ কাগজপত্র আছে কি না দেখতে চেয়েছিলাম। কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি ওঁরা। পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু তিনিও পদক্ষেপ করেননি।’’
বারাসত ১ বিডিও রাজীব দত্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবুও আমি খোঁজ-খবর করছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)