একমাস দশ দিনের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম অমন সরকার। শুক্রবার এই ঘটনার পরে তার বাবা দেবাশিস বনগাঁ থানায় ও হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিক ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য গাফিলতি মানতে চাননি। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই শিশুটিকে প্রথম নেবুলাইজার দেওয়া হয়। সুস্থ হলে তাঁর মায়ের কোলে দেওয়া হয়। মাকে বলা হয়েছিল, ছেলেকে দুধ না খাওয়াতে। কিন্তু মা তাকে দুধ খাওয়ান। দুধ আটকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে ফের নেবুলাইজার দেওয়া হয়। তখন শিশুটি মারা যায়।
হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে শিশুটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁর কালুপুরের বাসিন্দা দেবাশিস শুক্রবার সকালে এক চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর ছেলেকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যান। ছেলের ঠান্ডা লেগেছিল। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা শিশুটিকে দেখে ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে আয়া শিশুটিকে নেবুলাইজার মেশিন চালিয়ে দেয়। ওই মেশিন চলাকালীন ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কাঁদতে কাঁদতে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে অমনের। মারা যায় সে। দেবাশিস বলেন, ‘‘হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে দেখে প্রথমে বলেছিলেন আশঙ্কার কিছু নেই। কিন্তু নেবুলাইজার মেশিনে গ্যাস দেওয়ার সময়ে নার্স ও আয়াদের গাফিলতির জেরে ছেলের মৃত্যু হয়।’’