Advertisement
E-Paper

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বেই কি খুন, ধন্দে পুলিশ

গাড়ির ডিকি থেকে উদ্ধার হওয়া মুণ্ডুহীন মৃতদেহের পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ নূর আলম (৪২)। তিনি মাছের খাবার বিক্রি করতেন। নূরের বাড়ি হাওড়ার পাঁচলা এলাকাতে হলেও তিনি বর্তমানে মধ্যমগ্রামে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তিনি গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫৪

গাড়ির ডিকি থেকে উদ্ধার হওয়া মুণ্ডুহীন মৃতদেহের পরিচয় জানতে পারল পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ নূর আলম (৪২)। তিনি মাছের খাবার বিক্রি করতেন। নূরের বাড়ি হাওড়ার পাঁচলা এলাকাতে হলেও তিনি বর্তমানে মধ্যমগ্রামে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তিনি গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ মৃতের স্ত্রী টুম্পা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার থেকে বসিরহাটের শ্রীনগর-মাটিয়া পঞ্চায়েত অফিসের কাছে গলতলা সেতুর পাশে টাকি রোডের ধারে একটি সাদা রঙের ছোট গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। গ্রামবাসীরা ভেবেছিলেন, বাইরে থেকে কেউ গাড়ি নিয়ে গ্রামে এসেছিলেন। কিন্তু তিন দিন পরেও গাড়িটি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় গাড়িটির ডিকি খুলতেই বেরিয়ে আসে মুণ্ডহীন দেহ। গাড়িতে থাকা নথি দেখে পুলিশ মৃতের নাম, পরিচয় জানতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নূর ইসলামের দু’টি বিয়ে। প্রথম স্ত্রী মোমেনা খাতুন বসিরহাটের সর্দারহাটি গ্রামে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী টুম্পা বেগম মধ্যমগ্রামে থাকেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে তাঁরা বসিরহাট থানায় আসেন।

এ দিন বসিরহাট থানার সামনে দাঁড়িয়ে টুম্পা বেগম দাবি করেন, মাস কয়েক আগে পাঁচলা থেকে মধ্যমগ্রামে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেছিলেন। তবে নিজের বাড়ি তৈরির জন্য তিনি মধ্যমগ্রামে একটি জমি কিনেছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ তিনি সারাতে দেওয়া মোবাইল আনতে যাচ্ছি বলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। খোঁজ না পেয়ে সোমবার সকালে মধ্যমগ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। টুম্পা বেগমের দাবি, ‘‘পরিকল্পনা করেই এই খুন করা হয়েছে।’’ মৃতের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, বসিরহাটের কলেজ পাড়া এলাকার দু’জন বাসিন্দার সঙ্গে মাছের খাবারের ব্যবসা করতেন নূর। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দাদা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ওই দু’জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।’’

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, গাড়িটি শেখ নূর আলম চালাচ্ছিলেন। তখন পিছনের আসন বসা ব্যক্তি তাঁকে শ্বাসরোধ করে। তার পর হাত-পা বেঁধে গলা কেটে খুন করে দেহটি ডিকিতে ভরে পালায় দুষ্কৃতীরা। মৃতের দুই ব্যবসায়িক সঙ্গী ছাড়াও এক নর্তকীও পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রয়েছে।

Businessman Murder Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy